আলমডাঙ্গার নাগদাহ গ্রামে জমি বিক্রয়ের টাকা চাওয়ার অপরাধে দুই পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গত দেড় মাস যাবৎ ওই পরিবারগুলো অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে।
জানা যায়, উপজেলার নাগদাহ গ্রামের মৃত মোজাহার বিশ্বাসের ছেলে বিপুল বিশ্বাস পৈত্রিক জমির ১০ শতাংশ মাঠের জমি বিক্রয় করেন। ওই জমি ২ লাখ টাকায় ক্রয় করেন একই ইউনিয়নের ভোলারদাইড় গ্রামের মৃত হাসিবুলের ছেলে মজিবুল ইসলাম। গত ২ মাস পূর্বে বিপুল ওই জমি ক্রেতা মজিবুলের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন।
ইতিপূর্বে মাঠের ওই জমি দীর্ঘদিন যাবৎ মজিবুলের মা মুনজিরা বেগম ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে চাষাবাদ করছিলেন। তার ছেলে মজিবুল ওই জমি কেনায় লিজের ৪০ হাজার ও নগত ৬০ হাজার টাকা অগ্রিম দেন মুনজিরা বেগম। এর আগে বিপুলের ভাই মন্টু বিশ্বাস মুনজিরার নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নেন। একপর্যায়ে জমি রেজিস্ট্রির সময়, মুনজিরা বেগম নগত ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ১০ হাজার টাকা মন্টু বিশ্বাস পরিশোধ করবে এমন মর্মে।
জমি রেজিস্ট্রির ১০ দিনপার হলেও পাওনা ১০ হাজার টাকা চায় দেয় না মন্টু বিশ্বাস। একাধিকবার পাওনা টাকা চাওয়ায় মন্টু বিশ্বাস ক্ষিপ্ত হয়ে বিপুল বিশ্বাস ও আসলাম বিশ্বাস কালুর সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। এরই একপর্যায়ে মন্টু বিশ্বাস বাড়ি ফিরে অন্যত্র তার ছোট ভাই সাহাবুল তার পরিবারের লোকজন নিয়ে আসলাম বিশ্বাস কালুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এসময় জোরপূর্বক তার বাড়ি থেকে নগত ২ লাখ টাকা ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন কালু।
এঘটনার পর মন্টু তার ভাই আসলাম মিলে আসলাম বিশ্বাস কালু ও আব্দুল বিশ্বাসের যাতায়াতের পথ বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দেয়। এতে গত দেড় মাস দুই পরিবারের লোকজন অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সারোয়ার হোসেন জানান, পথ ঘেরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষকে ডাকা হয়। তবে, একজন আসলেও আরেকজন আসে না। ওই বিষয়ে কোন সমাধান হয়নি।