আলমডাঙ্গার আনন্দধামে ৩ শতক জমি বিক্রির ঘোষনা দিয়ে নগদ টাকা ও মাঠের ৪৫ শতক জমি নেবার পরও জমি না দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শুক্রবার আবু জাফর ও তার ভাই জাহাঙ্গীর আলম লিখিত সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন যে, আমাদের পিতা ডামোস গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল আলমডাঙ্গা শহরের আনন্দধামে ১৭ শতক জমির মধ্যে আমাদের দুই ভাইয়ের নামে ৮ শতক ও আমাদের সৎ ৩ ভাইয়ের নামে ৯ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন।
আমরা সৎ দুই ভাইয়ের কাছ থেকে কিছু জমি আগে ক্রয় করি। আমার অন্য আরেক সৎ ভাই হাবিল উদ্দিনের নামীয় ৩ শতক জমি গত ২৪/০৬ /২২ সালে ক্রয়ের জন্য দরদাম করি। মূল্য নির্ধারণের পর তাকে নগদ ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ও ডামোস মাঠে ৪৫ শতক জমি প্রদান করি। যা আনন্দধাম এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির স্বাক্ষরের মাধ্যমে চুক্তিনামা করা হয়। চুক্তিনামা করার পর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও জমি রেজিস্ট্রি না করে আমাদের সাথে টালবাহানা শুরু করে।
সে আমার জমিতে পুকুর কেটে দীর্ঘ ১২ বছর ভোগ দখল করলেও সৎ ভাই হাবিল ও তার ছেলে লিপু জমি রেজিস্ট্রি না করে দিয়ে প্রতারণা শুরু করে। বাধ্য হয়ে আমরা ২০১৫ সালে আদালতে মামলা দায়ের করি। যা চলমান রয়েছে। এরই এক পর্যায়ে গত ১২ জুলাই হাবিল ও তার ছেলে লিপু বেশ কয়েকজনকে নিয়ে দোকানে তালা লাগাতে আসে।
আমরা নিষেধ করলে আমাদের উপর হামলা করে। রড ও বাটাম দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে। মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরি। তারা মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের জন্য নাটক সাজিয়েছে। আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানাচ্ছি।