আলমডাঙ্গায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে সাড়ে তিনশত স্লিপার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) শ্যামল কুমার দত্ত।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা থেকে পার্বতীপুর যাবার পথে উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের গড়গড়ি গোবিন্দপুর এলাকার মাঠের মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস। এছাড়া ঘটনাস্থলে বর্ডার গার্ড (বিজিবি)র পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য থানা পুলিশের একাধিক টিম মোতায়েন করা হয়।
এ দিকে নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা কারণ খতিয়ে দেখতে পাকশি ডিভিশন লেভেল থেকে গঠন করা হয়েছে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি।
রেল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার ভোরে খুলনা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিজিবি প্রহরায় জ্বালানি তেল নিয়ে পার্বতীপুর উদ্দেশে যাচ্ছিল ট্রেনটি। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় পৌঁছালে তেল বোঝাই দুটি ট্যাংকারের জয়েন্টের লক খুলে যায়। এতে একটি ট্যাংকার রেল ট্র্যাক থেকে লাইনচ্যুত হয়। এতে রেলের প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক স্লিপার ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
চুয়াডাঙ্গা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) শ্যামল কুমার দত্ত মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানান, তেলবাহী ট্রেনের লাইনচ্যুতির ঘটনায় সাড়ে তিনশতাধিক স্লিপার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দুপুরে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌছে লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধার করা হয়েছে। জ্বালানিবাহী ট্রেনটি বিকেল ৪টা নাগাদ পার্বতীপুর উদ্দেশ্যে আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে । তবে কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত চলমান রয়েছে।
সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী লাল চাঁদ মিয়া বলেন, তেলবাহী ট্রেন গাড়ি লাইনচ্যুত হওয়ায় পশ্চিম রেলের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ট্রেনের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে কিছু স্লিপার নষ্ট হয়েছে। রেল বিভাগ ইতোমধ্যে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করেছে। তবে নাশকতা কি না খতিয়ে দেখছে তদন্ত কমিটি।
উদ্ধারকৃত ট্রেনের জ্বালানি ট্যাংকারটি বতমান জিআরপি পুলিশের পাহারায় রয়েছে।