জমি ও ঘর না থাকায় আলমডাঙ্গার কুটি পাইকপাড়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে দুটি পরিবার। সরকারি জমিতে ছোট কুঠির নির্মাণ করে মাথা গোজার স্বপ্ন খুঁজলেও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের রোষানলের শিকার হচ্ছেন।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গার উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের কুটি পাইকপাড়া গ্রামের তাসলিমা খাতুনের সাথে দীর্ঘ ১৫ বছরের সংসারে ফাটল ধরে সদর থানার শোলগাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের সাথে।
গত ৭ বছর পূর্বে তাদের দুজনের ডিভোর্স হয়। ইতোমধ্যে তাসলিমা খাতুনের দাম্পত্য জীবনে দুটি কণ্যা সন্তান জন্ম নেয়। এখন বড় মেয়ে ৭ম শ্রেণী ও ছোট মেয়ে প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রী।
তাসলিমা খাতুন ঘোলদাড়ি বাজারে ছোট পরিসরে পার্লারের দোকান দিয়ে তাদের মানুষ করার চেষ্টা করলেও করোনার কারণে সে স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। ডিভোর্সের পর তাসলিমা খাতুন ও তার মেয়েদের নিয়ে বোনের বাড়িতেই অবস্থান করেন। তার বাবা বয়সের ভারে কোন কাজ করতে না পারলেও তারা সেই তাসলিমার সংসারেই অবস্থান করে।
গত ২ বছর পূর্বে তাসলিমার বাবা বড় বোন রোকেয়া খাতুনকে ২শতক জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়। রেজিষ্ট্রি করার পূর্বে তার জমিতে বসবাসের জন্য প্রতিশ্রুতি দিলেও সে তার কথা রাখে নি।
তাসলিমা তার দুই মেয়ে ও বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে না খেয়ে খোলা আকাশের নিচেই বসবাস করছে।
গত কয়েকদিন পূর্বে ঘোলদাড়ি বাজার প্রাঙ্গণে সরকারি খাস জমিতে টিনের চালা বেধে একটু মাথা গোজার ঠাই করলেও তা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের রোষানলে পড়ে ঘর নির্মাণে ব্যঘাত ঘটছে।
এই বিষয়ে তসলিমা খাতুন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাদের জমি ও ঘর নাই তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বসবাসের ঘর নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও আমরা তা থেকে বঞ্চিত। চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের নিকট গেলেও তারা মূল্যায়ন করেনি।
তিনি আরো বলেন, নিজের জমি ও ঘর থাকলে কখনো সরকারি জমিতে ঘর বেধে থাকার স্বপ্ন দেখতাম না। এখানে সরকারি পাবলিক টয়লেট, যেখানে ঘর করছি সেখানে নিচে ধুধু ফাকা জায়গা ও ভাটো নদী। এখানে জীবন যাপন করতে আমাদের সমাজের মানুষ কতজন আগ্রহী এটাই বলতে চায়।