আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী (স্বতন্ত্র) আশিকুজ্জামান ওল্টুর কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ১৪ জন কর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ প্রার্থী ওল্টুর।
এছাড়াও ৩০ টি ইঞ্জিনচালিত আলমসাধু, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও পাখিভ্যান ভাংচুর করেছে। শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে কুদ্দুস বটতলার মোড়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের বৈদ্যনাথপুর গ্রামের তাহাজ আলীর ছেলে বেরেস্টার ওরফে বেলে (৩১), একই এলাকার কাবেরের ছেলে শাহাবুল (৩২), ইসরাফের ছেলে আশরাফুল (২৫), ফরমান আলীর ছেলে আরিফ (৩৫) রফিকের ছেলে ইকবাল (৩০), মফের ছেলে মেগা (৩৭), উজ্জ্বলের ছেলে বাপ্পি (২০), আব্দুল হাকিমের ছেলে সুমন (২২), আছের আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৪৮) আকা আলীর ছেলে মন্টু (৪০), মৃত সাবদাল মণ্ডলের ছেলে শুকুর মণ্ডল (৬৫), একই ইউনিয়নের প্রাগপুর গ্রামের কছের আলীর ছেলে আনছার আলী (৫৫), একই এলাকার মৃত এরশাদ আলীর ছেলে তোফাজ্জেল আলী (৭৫), সানোয়ারের ছেলে মাসুম (৩২)
বিদ্রোহী’ প্রার্থী আশিকুজ্জামান ওল্টু বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পর হারদি কৃষি ক্লাবে পথসভার আয়োজন করেছিলাম। আমার কর্মীরা বিভিন্ন গাড়ি নিয়ে আসার সময় চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে কুদ্দুস বটতলার মোড়ে পৌছালে চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলামের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার ১৪ জন কর্মীকে মারধর করে এবং ৩০ টির ও বেশি গাড়ি ভাংচুর করে।
তিনি আরও বলেন, মুঠোফোনের মাধে খবর আসছে হতাহতের। আহতের সংখ্যা বাড়ছে। সকাল হলে বলতে পারবো মোট কতজন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে আমি রাতেই আলমডাঙ্গা থানার একটি অভিযোগ দিয়ে দিয়েছি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান (বর্তমান) প্রার্থী নুরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমার কোন কর্মীরা হামলা বা ভাংচুর করেনি। আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনবিধি লংঘন করে মোটরসাইকেল শোডাউন করেছে। তাদের মধ্যেই হট্টগোল হতে পারে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, পথসভাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিই। এতে কোন গাড়ি ভাংচুর বা আহতের ঘটনা ঘটেনি।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ নভেম্বর আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদীসহ ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৪ নভেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬৩ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী ১৪২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৪৮ জন অংশগ্রহণ করছেন। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে খাদিমপুর ও গাংনী ইউনিয়নের দুজন সদস্য প্রার্থী সাজাপ্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কারণে তাদের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আগামী ১২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মধ্যদিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু করবেন প্রার্থীরা।