নির্বাচনের আগের রাতেই আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীক ও আ.লীগের বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের দুজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে ইউনিয়নের পাচকমলাপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, পাচকমলাপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে সুজন (২৪) ও একই গ্রামের মৃত জুড়ন বিশ্বাসের ছেলে ঠান্ডু বিশ্বাস (৪২)। আহত ঠান্ডু বিশ্বাসের একটি হাত ভেঙ্গে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ও আহত সুজনকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাস বলেন, রাতে আমার কর্মী ঠান্ডু বিশ্বাসের উপর হামলা চালাই আ.লীগের (বিদ্রোহী) চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হালিম মণ্ডলের সমর্থকরা। এসময় রড ও লাঠিসোটা নিয়ে বেধড় পিটিয়ে জখম করে। এতে তার একটি হাত ভেঙ্গে যায়। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমি মুঠোফোনে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছি।
বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল হালিম মণ্ডল বলেন, রাতে নৌকা প্রতীকের দুই কর্মী পাচকমলাপুর গ্রামে একটি বস্তা নিয়ে সাইকেলযোগে শাহিনের বাড়ি খোজ করছিল। এসময় আমার কর্মী সুজন তার সাইকেলের পিছনে বস্তায় কি আছে জিজ্ঞাসা করলেই তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে তারা আমার কর্মী সুজনকে বেধড়ক মারধর করে। সুজনকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। আমি পুলিশকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, এক্স-রে রিপোর্ট পেয়েছি। ঠান্ডুর বাম হাত ভেঙ্গে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, নৌকা প্রতীকের কর্মীরা সাইকেলের পিছনে একটি বস্তা নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা বস্তায় কি আছে জানতে চাইলে নৌকা প্রতীকের একজনকে মারধর করে। তবে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের মারধর করেছে কিনা আমি জানিনা। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।