পীরের ছেলে পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ। পানি ও পান পরা খেয়ে মা-মেয়ে অজ্ঞান। ঘটনাটি আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ খুদিয়াখালি গ্রামে ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রতারক কুষ্টিয়া বটতৈল এলাকার আব্দুস সালাম ওরফে রনিকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া সদর থানার বটতৈল গ্রামের মৃত ইমারত আলির ছেলে আব্দুস সালাম ওরফে রনি (১৬)। সে দীর্ঘদিন কুষ্টিয়া টু মেহেরপুর রুটে লোকাল বাসে হেলপার হিসেবে কাজ করে।
করোনাকালীন গাড়ির চাকা থামতেই রনি শুরু করে নতুন চিন্তার গাড়ি। সে বাড়ি ছেড়ে মিরপুর থানাধীন কাতলামারী গ্রামে বসবাস শুরু করে। ওখান থেকে সে চিন্তা করে সহজ উপায়ে উপার্জনের।
এরই ধারাবাহিতায় গত কয়েক মাস ধরে রনি মীরপুর থানাধীন কাকিলাদহ মাদ্রাসার সাহায্য নথি সংগ্রহ করে। ওই কাগজ দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মাদ্রাসার নামে দান হিসেবে টাকা সংগ্রহ করে। ওই টাকা সে নিজের জিম্মায় রেখে দেয়। সুযোগ বুঝে প্রতারক রনি পীরের ছেলে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় রনি ও কাতলামারী গ্রামের উজ্জলের ছেলে বোরহান (১০) কে সাথে নিয়ে গতকাল রবিবার বেলা ১২ দিকে মুন্সিগঞ্জ এলাকার খুদিয়াখালি গ্রামের লোকমান হোসেনের বাড়িতে যায়। ওই বাড়িতে মা-মেয়ে ও প্রতিবেশীরা অবস্থা করছিলো। এ সুযোগে রনি সাহায্যের আড়ালে ফাঁদ পাতে।
লোকমান হোসেন বলেন, আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে সে মহিলাদের সাথে প্রতারণার ফাঁদ আটে। প্রথমে সে পীরের ছেলে দাবি করেন এবং সে আজমির শরিফ থেকে এসেছে বলে দাবি করে।
রনি প্রতারণার বাস্তবরূপ দিতে পানি পড়া দেয়, তার মধ্যে সেগারিন মিশিয়ে বলে আমার পড়া পানি মিষ্টি, ধুলোয় আতর মিশিয়ে দাবি করে, আধ্যাত্মিক শক্তির কারণে ধুলো দিয়ে সুবাস বের হচ্ছে।
এ সুযোগে প্রথম ধাপে ১১ শত ১০ টাকা নেয়। পরে পান পড়া খেতে দিয়ে লোকমানের স্ত্রী বুলবুলি ও মেয়ে রুমানা খাতুনের নিকট ২ হাজার টাকা দাবি করে। প্রতিবেশীরা বিষয়টি সন্দেহ করলে লোকমানকে ফোন দেয়। সে মাঠ থেকে দ্রুত বাড়িতে ফিরে তাদের আটকে রাখে। বিষয়টি মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশকে জানালে তাদের আটক করে থানা হেফাজতে রাখে।
রনির বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলার প্রস্তুতি চলছিলো। প্রতারকের পানি ও পান পড়া খেয়ে মা-মেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। এলাকাবাসী উদ্ধার করে চুযাডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।