আইনের তোয়াক্কা না করে আলমডাঙ্গার ইটভাটাগুলোতে অবাধে কাঠ ও লাকড়ি পোড়ানো হচ্ছে। সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে এসব কাঠ সংগ্রহ করায় হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। এর মধ্যে অধিকাংশ ইটভাটারই লাইসেন্স নেই। এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের তেমন তৎপরতাও নেই। এছাড়াও ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুকুর খননের নামে মাটি কেটে এসব অবৈধ ভাটায় মাটি পরিবহন করা হচ্ছে। এতে কোটি কোটি টাকার নির্মিত সরকারি রাস্তা গুলো ভেঙে গর্তে পরিণত হয়েছে। ধুলোবালিতে সড়কগুলো পাশের বসতবাড়িতে রং পরিবর্তন হয়ে হলচে ধারণ করছে। এসব অবৈধ ইটভাটায় দীর্ঘদিন কাঠ ও লাকড়ি পোড়ানো হলেও কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামস্থ প্রধান সড়কের পাশে জাবর ও চান্দালীর ইটভাটা রয়েছে। এছাড়া কুমারী ইউনিয়নের গেটবন্ডবিল এলাকায় বাবু মুন্সিরও ইট ভাটা রয়েছে। এই তিনটি ইটভাটা বছরের পর বছর প্রকাশ্যে কাঠ ও লাকড়ি পোড়ালেও পরিবেশ অধিদপ্তর নিরব ভূমিকা পালন করছে। উপজেলা প্রশাসনও এসব ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি।
এবিষয়ে ফরিদপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুকে তারা অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব ইটভাটা গুলো ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবৈধ ট্রাক্টরে শত শত গাড়ি মাটি পরিবহন করে। এতে সড়কে কাদামাটিতে রাস্তায় যাতায়াতে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গাড়ি চলাচলে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
বাড়াদি গ্রামের আব্দুল জব্বার জানান, গেটবন্ডবিল এলাকার বাবু মুন্সীর ইটভাটার অত্যাচারে অতিষ্ট পথচারীরা। একদিকে অবৈধ ট্রাক্টরের উৎপাত। অন্য দিকে কাঠ পোড়ানো দুর্গন্ধ বাতাসে শ্বাস নেওয়াও কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে। সড়কে পড়ে থাকা কাঁদামাটি হালকা বৃষ্টিতে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়। উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার মৌখিক অভিযোগ করলেও কোন সুরাহ মেলেনি।