আলমডাঙ্গার এনায়েতপুর প্রধানমন্ত্রীর ঘর সহ ২ শতক জমির অবশিষ্ট আরো ২ শতক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ভূমিহীন বেদানার বিরুদ্ধে। সরকারি জমির ওই বাড়ির পাশের রাস্তা দখল করে বেড়া দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে ৪ টি পরিবারের লোকজন।
এতে বিপাকে পড়েছে ওই বাড়ির পাশে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করায় একাধিক হামলা-মামলার শিকার এলাকাবাসী। থানা পুলিশ, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দারস্ত হয়েও মিলছে না সুরাহা । এতে সহিংসতার আশঙ্কা প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের এনায়েতপুর চারাপাড়ায় ভূমিহীন বেদানা খাতুন। সে গত ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে জমি ও ঘর পায়। ওই জমির পরিমাণ ৪ শতক। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর ঘর ও জমির দলিল হিসাবে বেদানা মালিকানায় আছে ২ শতক।
খাস খতিয়ান ভুক্ত জমি আরো ২ শতক জমি পরিত্যক্ত হয়ে আছে। ওই জমির পাশেই বেদানার ভাসুরের বাড়ি ঘর। তারা মৃত মকছেদ আলীর ছেলে মহির, আনারুল ও মিনারুল। এছাড়াও মিনারুলের ছেলে সাদ্দাম বাড়ি তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছে।
সরকারি ২ শতক জমি পরিত্যক্ত থাকায় ওই জমি দিয়ে ৪ পরিবারের প্রায় ২০/২৫ জন মানুষ যাতায়াত করে থাকে। এদিকে, গত ২০২১ সালে ভূমিহীন বেদানা খাতুন প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে ২ শতক জমি ও পাঁকা বাড়ি পায়। বাড়ি পাবার পর থেকে বেদানা জোরদখল করে খাস জমি পরিত্যক্ত থাকায় বিভিন্ন সময় দখলের চেস্টা করে।
৪ পরিবারের যাতায়াত পথ বন্ধ করে কাঁটা ও বেড়া নির্মাণ করে বেদানা। ওই বেড়া সরিয়ে যাতায়াতে সুযোগ্য পথ তৈরি করায় ৪ পরিবারের প্রায় ১০-১৫ জনের নামে মামলা করেন বেদানা। এবিষয় বেদানা বাড়াদি ইউনিয়ন পরিষদ সহ আলমডাঙ্গা থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগ করে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার হাসিবুল জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ করে বেদানা। এ বিষয়ে গ্রাম্য ভাবে মিমাংস করার চেস্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নূর জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে ভূমিহীন বেদানাকে ২ শতক জমি ও ঘর প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই জায়গায় অতিরিক্ত জমি থাকলে ভুক্তভোগী দখল নিতে পারবে না। যদি জোরপূর্বক দখল করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃস্টি করে তার বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।