আলমডাঙ্গা সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানকে লাঞ্চিতের নিন্দা জানিয়ে ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দ্বাীতে প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বালিকা বিদ্যালয়ের এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রতিবাদ সভায় বত্তাগণ বলেন, স্কুল ঢুকে একজন প্রধান শিক্ষককে মারধর করা অত্যন্ত নিন্দদীয় কাজ। যা সুধি সমাজ মেনে নিতে পারেনা। আমরা এই লাঞ্চনাকারী সামসাদ রানুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায়। ভবিষতে যেনো আর কেউ এধরনের কাজ করতে না পারে।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী, আলমডাঙ্গা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, মুন্সিগঞ্জ একাডেমির প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান, বাদেমাজু বাদল স্মৃতি একাডেমি প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শংকর পাত্র, কুমারী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান, এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দীকুর রহমান, জেসিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান, সপ্তগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন, আইলহাস লক্ষিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাইজাল হোসেন, নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ কুমার শীল, শ্যামপুর মাদ্রাসার সুপার আক্তারুজ্জামান, ঘোলদাড়ি বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ, আইলহাস লক্ষিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নুরুল ইসলাম, এরশাদপুর একাডেমির সিনিয়র শিক্ষক আতিয়ার রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত,আলমডাঙ্গা সরকারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে গত বুধবার সকাল ৯ টার দিকে পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর ও কৃষকলীগ নেত্রী সামসাদ রানু ওরফে রাঙ্গা ভাবী তার সপ্তম শ্রণীতে পড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে যান। ছেলের ধারাবাহিক মূল্যায়ন পরীক্ষা কিভাবে, পদ্ধতিই বা কী এবং ছেলেরা আর কতক্ষণ এভাবে অপেক্ষা করবেন জানতে প্রধান শিক্ষকের আসার প্রতীক্ষা করছিলেন। সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান বিদ্যালয় আসলে সামসাদ রানু তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে টিচারদের রুমে নিয়ে যান। বিদ্যালয়ে কেনো দেরি করে এসেছে জানতে চেয়ে তাকে চড় থাপ্পর মারেন। সে সময় সেখানে থাকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন মহিলা কাউন্সিলরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন।
এদিকে ঘটনার কিছু সময় পর বিদ্যালয় ছুটি হলে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় ছেড়ে বাড়ি চলে যান। পরে সহকারী শিক্ষকরা এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে বৈঠকে বসেন।
ঘটনার বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমি এ ঘটনায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েছি। বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে ডেকেছেন। আমি স্যারের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবো।
সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ সামসাদ রানুকে গ্রেফতার করেন।
গতকাল তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।