আলমডাঙ্গার যাদবপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মাটি খাদক রঞ্জুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে কৃষককে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করার নামে মাটি নেওয়ার উদ্দেশ্য হাসিলেরও।
তবে নগদ টাকা পেতে অনেক কৃষক স্বেচ্ছায় মাটি বিক্রি করছেন বলেও জানা গেছে। এভাবে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কাটায় জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। এসব মাটি পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ও লাটাহাম্বা গাড়িগুলো সদ্য নির্মিত গ্রামাঞ্চলের সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে দ্রুত গতিতে যাতায়াত করায় মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলায় কুমারী ইউনিয়নে ৩ টি ইটভাটা রয়েছে। মৌসুমে তিনটি ইট ভাটায় কয়েক লাখ ঘন মিটার মাটির প্রয়োজন হয়। এসব মাটির চাহিদা পূরণে দীর্ঘদিন মাটি ব্যবসায়ী রঞ্জু পরিত্যক্ত পুকুর ও সালিন জমিতে খনন করে মাটি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ইট ভাটায় বিক্রি করেন। বিভিন্ন সময় উপজলা প্রশাসন জরিমানা করলেও পূণরায় আবারো তিনি মাটি ব্যবসায় জরিয়ে পড়েন। ইতোমধ্যে গত কয়েকদিন আগে ভূমি দস্যু রঞ্জু উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের হাজী মঙ্গল বিশ্বাসের ছেলে আকুব্বার বিশ্বাসের সালিন ধান চাষের জমিতে পুকুর খননের নামে মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করছে। এছাড়া গাড়িতে মাটি পরিবহনের নামে রাস্তায় ধুলা-কাঁদা মাটিতে সড়কে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে উঠছে। আশেপাশের বাড়িতে ধুলা-বালির কারণে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বসতবাড়িতে থাকা ছোট শিশুরাও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছে।
এ বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ী রঞ্জুর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, মাটি কাটার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রির সত্যতা নিশ্চিত করেন।