আলমডাঙ্গার তিয়রবিলায় নিখোঁজের তিনদিন পর যুবকের ঝুঁঁলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে স্থানীয়রা মাঠে ঘাস কাটতে গেলে অর্ধগলিত ঝুঁলন্ত লাশ দেখতে পায়।
স্থানীয় তিয়রবিলা ফাঁড়িপুলিশকে খবর দিলে যুবকের ঝুঁলন্ত লাশ উদ্ধার করে। নিহত যুবক তরিকুল ইসলাম (২০) তিয়রবিলা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আনিসুজ্জামান লাল, আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক ওসি (তদন্ত) আব্দুল আলিম, পরিদর্শক ওসি (অপারেশন) একরামুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের তিয়রবিলা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (২০)। গত ১ মাস পূর্বে চুয়াডাঙ্গা সদর সম্ভুপুর গ্রামের অন্তরার সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়।
বিবাহের ফিরিনি শেষে তরিকুল বাড়িতে ফিরে আসে। পরবর্তীতে তার স্ত্রীকে আনতে গেলে সে আসবে না বলে ফিরিয়ে দেয়। পূণরায় তরিকুলের পিতা আবারো তার ছেলের বউকে আনতে গেলে সে আসবে বলে জানায়।
বউ আসবে না এমন ক্ষোভে গত ৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করার অজুহাতে বাড়ি থেকে বের হয় তরিকুল।সে রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজ করতে থাকে।
গত ৩ দিন পার হলেও তরিকুলের খোঁজ মেলেনি। শুক্রবার বিকেল ৫ টায় তিয়রবিলা গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুল আজিজ মাঠে ঘাস কাটতে যায়। এসময় আজিজ ভাটুই নদীর পাশে পৌছালে দুর্গন্ধ পেতে থাকে। হঠাৎ সে ভাটুই নদীর পাশের তেঁতুল গাছে অর্ধগলিত যুবকের মরদেহটি দেখতে পায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে লাশ সনাক্তের চেষ্টা করে।
লাশ কেউ চিনতে না পারায় তরিকুলের মা লাশটি দেখে তার ছেলে বলে দাবি করে নিশ্চিত করে। খবর পেয়ে তিয়রবিলা ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে। গতকাল শুক্রবার রাত ৯ টায় সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আলিম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক বিয়ে কেন্দ্রীক অভিমানে আত্নহত্যার ঘটনা হতে পারে। তদন্ত অনুযায়ী ঘটনার আসল কারণ জানাযাবে।