আলমডাঙ্গার পারকুলা গ্রামে চলাচলের রাস্তায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে ভুক্তভোগী পরিবার হয়ে পড়েছেন দিশেহারা।
পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ অমানবিক কাজ বন্ধের আহবান জানালেও অভিযুক্তরা তা না মেনে ভূক্তভোগীকে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে বলে একটি লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলা কালিদাসপুর ইউনিয়নের পারকুলা গ্রামের মিরাজুল ইসলামের ছেলে সোহেল রানা গত ৯ বছর পূর্বে একই এলাকার সাহাবুদ্দিন সাবুর নিকট থেকে ৩.৩২ শতক জমি ক্রয় করেন। সাহাবুদ্দিন সাবুর আর.এস খতিয়ানের ৪৬ নং দাগের ২২ শতক জমির মধ্যে ৩.৩২ শতক জমির উত্তর পার্শ্বে রাস্তা দেখিয়ে তিনি বিক্রি করেন। এনিয়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক আবু হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলামের সাথে রাস্তা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তবে, সাবু দুই পক্ষকে ডেকে ওই জমির পিছন ইসমাইলের বের হওয়া রাস্তা দিক থেকে বের হবার ব্যবস্থা বের করে দেন সোহেল রানার পরিবারকে । গত ৪ বছর যাবৎ ওই রাস্তা ব্যবহার করছে সোহেল রানা তার পরিবারের লোকজন। এর একপর্যায়ে আরেক প্রতিবেশী মৃত আরশেদ আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন গত তিন মাস যাবৎ রাস্তা নিয়ে ঝামেলা শুরু করে। এনিয়ে দফায় দফায় স্থানীয় ফাঁড়িপুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উদ্যোগে বৈঠক হয়। বৈঠকে ইসমাইলের জমির মধ্যে সরকারি খাস জমিতে রাস্তা বের করার সিদ্ধান্ত দেয়। তবুও ইসমাইল ও তার পরিবারের লোকজন তাদের যাতায়াত করতে দিবে না।
ইতোমধ্যে আজ সোমবার সকালে ইসমাইল ও তার পরিবারের লোকজন ইটের প্রাচীল দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। এহেন অমানবিক কাজের জন্য এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে।