আলমডাঙ্গায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই কিশোরীর বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার রাতে এ বিষয়ে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরীর বাবাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
থানার ওসি জানান, শুক্রবার সকালে ধর্ষণকারী বাবাকে সংশ্লিষ্ট মামলায় তাকে চুয়াডাঙ্গা আদালতে এবং কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের হুদাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আলতাফ হোসেন। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে বসবাস করেন। পেশায় তিনি দিনমজুরের কাজ করেন। তার বড় মেয়ে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেণী লেখাপড়া করে।
গত ৩ মাস আগে ওই কিশোরীর মা বাড়িতে না থাকায় তাকে জোরপূর্বক নিজ বাড়িতেই ধর্ষণ করে পিতা আলতাফ হোসেন। তিনি গত কয়েক মাস ধরে প্রায়ই ধর্ষণ করতেন বলে গুঞ্জন চলছিল। তিনি এ বিষয়ে কাউকে কিছু বলতে নিষেধ করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলার নাগদাহ গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের সাথে তার মেয়ের পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের দিনগত রাতেই ওই কিশোরী বমি ও পেটে ব্যাথা অনুভব করে। পরের দিন ডাক্তারি পরিক্ষা করলে ওই কিশোরী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান চিকিৎসক। তার পিতা মেয়েকে ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে বলতে নিষেধ করেন। এছাড়া হত্যারও হুমকি দেয়। একপর্যায়ে এলাকাবাসীর চাপে ওই কিশোরী তার পিতার নিকট ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানায় ।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিলে বাবাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এলাকাবাসী ওই কিশোরীর বাবাকে আটত করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দিলে তাকে হেফাজতে হেওয়া হয়।