সারাদেশে পৌরসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ৫৬ টি পৌরসভার মধ্যে আলমডাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আগাম প্রচার প্রচারণায় নেমেছেন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা।
এ নিয়ে সর্বত্র আলোচনা চলছে- কে হবে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য অনেক প্রার্থী নানা রঙের ব্যানার পোস্টারের মাধ্যমে তাদের প্রার্থিতা জানান দিতে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ অব্যাহত রেখেছেন তারা।
দ্বিতীয় বারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণার পাশাপাশি স্ব-স্ব দলীয় মনোনয়ন পেতে শীর্ষ পর্যায়ের লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।এবাবের নির্বাচনে ক্ষমতাশীল দল আওয়ামীলীগের ৮ জন, কৃষকলীগের ১ জন, বিএনপির ২ জন, জাসদের ১ জন নির্বাচনের মাঠে পথসভা ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে এক নেতা জানান, দল থেকে নমিনেশন না পেলেও সতন্ত্র হয়ে নির্বাচনি মাঠে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন তার কর্মীদের।
এবাবের আলমডাঙ্গা পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা- আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, (ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলি মাষ্টার, আওয়ামীলীগের সাবেক কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, সাবেক পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, আনিসুজ্জামান হুজুর মল্লিক, জেলা কৃষকলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সামসাদ রানু, বিএনপির সাবেক আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র আলহাজ্ব মীর মহি উদ্দীন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক নাজিম উদ্দীন মোল্লা,বীরমুক্তিযোদ্ধা ওজেলা জাসদের সভাপতি এম সবেদ আলি।
পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলিগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা অব্যহত থাকলেও মাঠ পর্যায়ে নেই বিএনপির কোন নেতাকর্মী। বিল বোর্ডের মাধ্যমেই বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে মাঠ থাকার জাগান দিচ্ছে।বিএনপির দুইজন মাঠে নামার প্রতিশ্রুতি দিলেও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক পৌর নির্বাচন থেকে পিছে যাচ্ছে এমনটাই গুঞ্জন চলছে পৌর এলাকাজুড়ে।
বর্তমান মেয়র উপজেলা আওয়ামীলিগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র হাসান কাদির গনু ২০১৫ সালে ৩১ শে ডিসেম্বর দলীয় মনোনয়ন ও নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হয় আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হিসাবে। গত ২০১৫ সালের পৌর নির্বাচনে বিএনপির সাবেক মেয়র প্রার্থী হিসাবে নৌকার বিপক্ষে প্রতিদন্দি হিসাবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেন আলহাজ¦ মীর মহি উদ্দিন।
পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলিগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে পৌর আওয়ামীলিগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক নির্বাচনি প্রচারণায় তৃণমূল পর্যায়ে এগিয়ে জনস্রোত গড়ে তুলেছে। বর্তমান মেয়র উপজেলা আওয়ামীলিগের সভাপতি হাসান কাদির গনুর বিপক্ষে নির্বাচনি মাঠে থাকার প্রতিশ্রুতি। তিনি বর্তমানে ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসাবে আলমডাঙ্গা পৌরসভায় দায়িত্ব পালন করছে।
এদিকে, আলমডাঙ্গা পৌরসভার রূপকার হিসাবে পরিচিত মুখ এম সবেদ আলি। তিনি বীরমুক্তিযোদ্ধা ও জেলা জাসদের সভাপতি। আলমডাঙ্গা পৌরসভা প্রতিষ্ঠার প্রথম দিকে তিনি পৌর মেয়র হিসাবে নির্বাচিত হন। তার হাতেই গড়ে ওঠে আলমডাঙ্গা পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তা,ড্রেনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। তার অবদান থাকলেও ইতো পূর্বে তিনি মেয়র হিসাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলেও সিমিত ভোটের মাধ্য পরাজিত হন। এবারের নির্বাচনে সাবেক মেয়র এম সবেদ আলিকে নির্বাচনের মাঠে টানছে জনগন। পৌর নির্বাচনে জয় লাভ করে আবারো পৌরসভার উন্নয়নের জন্য জনগণের স্ব-ইচ্ছা প্রশোন করেছে।
এছাড়া, এবারের পৌর নির্বাচনে প্রথম মহিলা প্রার্থী হিসাবে জেলা কৃষকলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সামসাদ রানু মেয়র নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছে। তিনি বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছে।আলমডাঙ্গা পৌর নির্বাচন উপলক্ষে তফসিল ঘোষণা পর থেকেই প্রার্থীরা ছুটছে কেন্দ্রে। চালিয়ে যাচ্ছে লবিং। সবার ইচ্ছা নেত্রী আমাকে দিবে কাঙ্খিত নমিনেশন।
অপরদিকে, পৌরসভার কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা যে যার মতো করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। পোস্টার ব্যানারে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা সহ ভোটারদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।