উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সমাজতন্ত্র পরীক্ষায় ‘প্রক্সি’ দিতে এসে ধরা পড়েছে সালমা খাতুন নামের এক যুবতী। শনিবার দুপুর ২টার দিকে আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে ওই ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে সালমা খাতুনকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ। এছাড়া মূল পরীক্ষার্থী কাজী মারজাহান নিতুকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আটক ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী সালমা খাতুন (২৪)। তিনি আলমডাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুপাড়া এলাকার জজহুরুল ইসলামের মেয়ে। এছাড়া বহিষ্কৃত মূল পরিক্ষার্থী মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী কামালে মেয়ে ও তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান।
আলমডাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আনুরা খাতুন বলেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শনিবার বিএ/বিএসসি চতুর্থ বর্ষে সমাজতন্ত্র-৩ পত্রের পরিক্ষা চলছিল। কলেজের শিক্ষার্থী কাজী মারজাহান নিতু মূল পরীক্ষার্থী। নিতুর আসনে বসে সালমা খাতুন পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রের সঙ্গে চেহারা মিলিয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছিল। জেসিয়ার আসনে বসা পরীক্ষার্থী বোরকা পরে ছিলেন। কিন্তু তিনি বোরকার নিকাব খুলে চেহারা দেখাতে চাইছিলেন না। তাঁর কথাবার্তাও অসংলগ্ন ছিল। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন, নিতুর হয়ে তিনি ‘প্রক্সি’ পরীক্ষা দিতে আসেন। পরে ওই ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এছাড়া মূল পরিক্ষার্থীকে নিতুকেও বহিস্কার করেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, দুপুরে খবর পেয়ে তিনি ওই কলেজে যান। কলেজ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ওই ‘প্রক্সি’ পরীক্ষার্থী সালমাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া মূল পরিক্ষার্থী কাজী মারজাহান নিতুকে বহিস্কার করা হয়েছে।