আলমডাঙ্গায় মাটিকাটা ট্রাক্টরের নীচে পড়ে সামিউল (৬) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার কেশবপুর গ্রামের নতুন পাড়ায় পুকুর খনন দেখতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হয় ওই কিশোর। এদিকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাক্টর মালিকসহ তিন জনের নামে মামলা হয়েছে।
শিশু সামিউল কেশবপুর গ্রামের আইনাল হকের ছেলে।
শিশু সামিউল ইসলাম ও তাঁর দুই বন্ধু। এরই একপর্যায়ে তাঁরা পুকুর পাড়ের বাঁশ বাগানে খেলা করছিল। এসময় অসাবধানতাবশত বাঁশ গাছ থেকে পিছলে পড়ে সে ট্রাক্টরের নিচে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৬ বছরের শিশু সামিউল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কেশবপুর গ্রামের মৃত মফল বিশ্বাসের ছেলে শহিদুল ইসলাম ও একই গ্রামের মৃত মওলা বক্সের ছেলে মঞ্জিল কেশবপুর পশ্চিমপাড়ার হাঠাৎপাড়ায় একটি পুকুরে মাটি কেটে বিক্রি করছিল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুনছুর আলী মাছের ঘের সংস্কারের নামে অবৈধ ভাবে কাটা এ মাটি নিয়ে মধ্যপাড়ার ঈদগাহ মাঠ ও বসতবাড়ির নিচু জায়গা ভরাট কাজে করছিল। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে সামিউল ইসলাম তাঁর দুই বন্ধুদের সাথে ওই পুকুর পাড়ের বাঁশ বাগানে খেলা করছিল। পুকুর থেকে মাটি ভর্তি একটি ট্রাক্টর ঈদগাহ মাঠের দিকে যাবার সময় সামিউল অসাবধানতাবশত বাঁশ গাছ থেকে পড়ে ট্রাক্টরের পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
ইউপি সদস্য মুনছুর আলীর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, মাছের ঘের পূণঃখননের জন্য ট্রাক্টরের মাটি কেটে ঈদগাহ মাঠে ও বিভিন্ন বসবাড়িতে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সকাল সাড়ে দশটার দিকে তাঁরা তিনজন শিশু খেলা করছিল। এসময় মাটি ভর্তি ট্রাক্টর রাস্তা দিয়ে যাবার সময় শিশু সামিউল ইসলাম চাকার নিচে পড়ে নিহত হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মাটি ভর্তি ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুটি মারা গেছে। তিনি আরো বলেন, পুলিশ নিহত শিশুর সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে।
এদিকে এ ঘটনায় ভূক্তভোগী পরিবার মাটি বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বুড়ো, মঞ্জিল ও একই গ্রামের মৃত দেলবার হোসেনের ছেলে সেলিমকে আসামী করে আলমডাঙ্গা থানায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন। দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে তাঁর পিতা-মাতা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।