আলমডাঙ্গার বধ্যভূমি পার্ক ও জাদু ঘর নির্মাণের নামে জোরপূর্বক মালিকানা জমি দখল, বাড়ি ঘর উচ্ছেদ’র অভিযোগ উঠেছে। কোর্টের আদেশ না মেনে উপজেলা প্রশাসন সরকারি খাস জমি দখলের নামে জোরপূর্বক এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। সরকারি খাস জমি দখলের নামে মালিকানা উচ্ছেদের ঘটনায় ভুক্তভোগী মন্টু মিয়া সাংবাদিকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, আলমডাঙ্গা কুমারি ইউনিয়নের লালব্রিজ সংলগ্নে বধ্যভূমি নিকটস্থ পার্ক ও জাদুঘর নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। নির্মাণ কর্মযজ্ঞকে ঘিরে সরকারি খাসজমি সংগ্রহ করছে উপজেলা প্রশাসন।
বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ সংলগ্নে ১৯৬২ সালের এস,এ রেকর্ড অনুযায়ী ১২৯৫ খতিয়ানে মোট জমির পরিমান ২ একর ৫৬ শতক। এ জমির মালিক মৃত আবুল হোসেন গং। আর, এস ২৯১ খতিয়ান ভুক্ত ১৯৩৩ দাগের ৩৬ শতক জমি খাস খতিয়ানের মাধ্যমে রেকর্ডভুক্ত হয়।
তবে সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ান ভুক্ত ১৯২২ নম্বর দাগে ভুক্তভোগীর ৩৬ শতক জমি ভুলক্রমে রেকর্ড হয়ে যায়। রেকর্ডভুক্ত জমি নিয়ে ২০২১ সালে বিজ্ঞ আলমডাঙ্গা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। রেকর্ড সংশোধনী মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ স্বাক্ষরিত আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি সংলগ্ন ভুক্তভোগী মন্টু মিয়ার নামে সরকারি জমি হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ পাঠানো হয়।
পরবর্তীতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি মন্টু মিয়া বাদি হয়ে দাবিকৃত জমি সঠিক পরিমাপের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নিকট নোটিশ পাঠায়। নোটিশের জবাব না দিয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নুর ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।
ভুক্তভোগী মন্টু মিয়া বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে অবৈধ ভাবে আমার বসতবাড়িতে উচ্ছেদ করেছে। প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এবিষয় উর্ধতন কর্মকর্তাদের সহায়তা কামনা করছি।
এবিষয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ জানান, যথাযথ আইনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদের বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে। সময় অনুযায়ী আদালতে জবাব পাঠানো হবে।