আলমডাঙ্গার আইলহাঁস গ্রামে বখাটেদের হাত থেকে মেয়েকে রক্ষা করতে গিয়ে মারপিটের শিকার হয়েছেন পিতা। গত শনিবার দিনগত মধ্যরাতে ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। থানায় মামলা হয়েছে।
থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদ রানা জানান, খবর পেয়ে ওই রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশিরদাড়ি গ্রামের আজিজুলের ছেলে সুজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশিরদাড়ি গ্রামের সাহাবুল নতুন বাড়ি করেছেন গ্রামের একটি ফাঁকা জায়গায়। ঘরের জানালা-দরজা এখনও লাগানো হয়নি। তার মেয়ে নবম শ্রেনীতে পড়াশোনা করছে। একই গ্রামের ৪/৫ জন বখাটে যুবক মেয়েটিকে নিয়মিত উত্যক্ত করে আসছিল।
সাহাবুল জানান, শনিবার রাতে তারা খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। মেয়ে ঘরের ভেতর আর তার ঘরের বারান্দায়। মধ্যরাতে মেয়ের চিৎকার চেচামেচিতে ঘুম ভাঙলে দেখা যায় গ্রামের চার যুবক তার মেয়েকে নিয়ে টানাহেচড়া করছে। তিনি বাঁধা দিতে গেলে তাদের হাতে থাকা টর্চলাইট দিয়ে মাথায় মারতে থাকে। এতে তিনি রক্তাক্ত আহত হন। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সাহাবুলের নির্যাতিতা মেয়েও বলেন, সে গ্রামের ওই চার যুবককে চিনতে পেরেছে। তারা রাস্তায় স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করতো।
সোমবার সাহাবুল থানায় শিশিরদাড়ি গ্রামের মোজাম আলীর ছেলে আশিকুর রহমান আশিক, একই গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে সুজন মেকানিক, লেল্টু হোসেনের ছেলে কামাল, ও দাউদ হোসেনের ছেলে মিন্টুর নামে মামলা দায়ের করেছেন।
তবে এ ঘটনার পর গ্রামের কিছু লোক ঘটনা ভীন্ন খাতে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। তারা গ্রামে ছড়িয়ে দেয় আশিক নামের ছেলেটির সাথে ওই মেয়ের
প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। আশিক রাতে ওই মেয়ের কাছে গেলে বাকি তিনজন তাদেরকে হাতেনাতে ধরতে ওই বাড়িতে যায়। ওই পক্ষ এই মুখরোচক গল্প ছড়িয়ে মেয়ের পিতার সাথে আপোষ-মিমাংসারও চেষ্টা করে। তারা ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও করে নেয় বলে জানা গেছে। এতে আপোষ-মিমাংসা না হলে হুমকির ব্যবস্থাও খোলা রেখেছে তারা।