আলমডাঙ্গার আঠারোখাদা গ্রামের সোলিং রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ রাস্তার পাশে নির্মিত গাইড ওয়াল ফেটে যাওয়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে। এদিকে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়ে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারের।
এলাকাবাসীর অভিযোগ আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের আঠারোখাদা গ্রামের মুচিপাড়ায় জেলা পরিষদের প্রায় তিন লাখ টাকার বিনিময়ে সোলিং রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ রাস্তা নির্মাণ কাজের ঠিকাদার কুমারি ইউনিয়নের মোজাম্মেল হক। বাড়াদি ইউনিয়নের এনায়েতপুর ও আঠারোখাদা গ্রামে ১ হাজার মিটার রাস্তায় প্রায় ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয় জেলা পরিষদ।
এ রাস্তা নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মোজাম্মেল হক রাস্তা নির্মাণ করে। রাস্তায় ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের ইট। সোলিং রাস্তা নির্মাণে ৩ ইঞ্চি বালির জায়গায় মাটি দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়। নিম্নমানের এ রাস্তা তৈরির কারণে এলাকাবাসী বাঁধা প্রদান করলেও তাদের দম্ভক্তির কারণে পিছিয়ে যায় এলাকাবাসী।
এনায়েতপুর গ্রামের সবুজ, হামিদ, সুজন, তাইজেল জানান, গত ১ মাস পূর্বে এনায়েতপুর গ্রামের প্রায় ৪শ মিটার রাস্তার কাজ করে। রাস্তায় ব্যবহার করে নিম্নমানের ইট। নিম্নমানের ইটের ব্যবহারের জন্য ভেঙে যাচ্ছে রাস্তা। এ রাস্তায় এনায়েতপুর গ্রামের হাজার হাজার বিঘা জমির ধানের গাড়ি চলাচল করলে ইটে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আঠারোখাদা গ্রামের আবুল কাশেম, রহমান, সঞ্জিত, সুজিত সুফিয়া, নাসিমা বেগম জানান, আমাদের গ্রামে প্রতিক্ষার পর রাস্তা নির্মাণ করা হয়। রাস্তায় ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের ইট। এ রাস্তার দুপাশেই আছে গর্ত। গর্তের জায়গায় হাটু পর্যন্ত পানি জমে। গর্তের দু পাশের নির্মিত গাইড ওয়াল ফেটে গেছে। রাস্তায় গর্তের জায়গায় মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও নাম মাত্র মাটি দিয়ে এ রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
এ ঘটনায় জেলা পরিষদের মেম্বর জানান, আমরা সরাসরি রাস্তার কাজ দেখতে পারি না। রাস্তার কাজ গুলো দেখে ইঞ্জিনিয়ার। যদি কোন ধরণের দুর্নীতির আশ্রয় নেয় তাহলে তাকে বিল প্রদান করা হবে না।
জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার বলেন, রাস্তার দুর্নীতি কখনো মেনে নেওয়া হবে না। যদি নিম্নমানের ইট ব্যবহার ও ওগাইড ওয়ালে ফাটল দেখা দেয় তাহলে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।