আলমডাঙ্গায় রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর আবারও ফাঁকা জায়গা দখলকারিদের বিরুদ্ধে অশনিসংকেত দিলেন রেলওয়ের পাকশী জোনের ডিআরএম প্রকৌশলি আশাদুল হক।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তিনি আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হয়ে স্টেশন মাস্টার শরিফুল ইসলাম মিন্টুর উপস্থিতিতে ওই অশনিসংকেত দেন।
তিনি জানান, সোমবার রেলওয়ের একটি প্রতিনিধি দল আলমডাঙ্গায় উপস্থিত হয়ে সরেজমিনে উচ্ছেদকৃত জায়গায় পুণরায় দখল করার বিষয়টি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, ষ্টেশন মাস্টার শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার রেলস্টেশন থেকে লাল ব্রীজ এলাকা পর্যন্ত রেলওয়ে জায়গায় অবৈধভাবে কয়েক’শ মানুষ পাকা ও আধা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে বসবাস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে।
গত কয়েক মাস আগে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ লীজ গ্রহণসহ বৈধ-অবৈধ স্থাপনার তালিকা প্রকাশ করে। সে সময় রেলওয়ে পাকশি জোনের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে লাল ক্রস দিয়ে সেগুলি সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এমনকি এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য স্টেশন এলাকায় মাইকিং করে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর সাড়ে ১০টার দিকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী জোনের বিভাগীয় ভূমি কর্মকর্তা ও নিবার্হি ম্যাজিস্ট্রেট নুরুজ্জামান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিবার্হি ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন, রেলওয়ে পুলিশের এস আই জালাল উদ্দিন ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের এস আই জিয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
সে সময় কয়েক’শ অবৈধ চিহ্নিত স্থাপনার মধ্যে রেলস্টেশন এলাকার কিছু দোকান ঘর ও লালব্রীজ সংলগ্ন পশুহাট এলাকার কয়েকটি দোকান ঘর ভাঙ্গা হয়।
কয়েক’শ অবৈধ চিহ্নিত স্থাপনার মধ্যে মাত্র কিছু উচ্ছেদ করার ঘটনা সাধারণ মানুষ নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছে। উচ্ছেদ অভিযানটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর উচ্ছেদ অভিযানে ভেঙ্গে দেওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ির ফাঁকা ভিটে পুণরায় দখল শুরু হয়েছে।
মেপ্র/আরপি