আলমডাঙ্গায় জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে শিশু ও নারী উন্নয়ন সচেতনা মূলক যোগাযোগ কার্যক্রম শির্ষক নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিদের কর্মশালা অনুষ্টিত হয়েছে। সকাল ১০ টার দিকে বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ লিটন আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডাঃ এ এস এম মারুফ হাসান। তিনি বলেন নারী ও শিশুর উন্নয়ন ছাড়া সামগ্রীক অর্থে উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের যে স্বপ্ন ছিল,স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দোর গোড়ায় পৌছে দেয়া, আজ তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সেটা করে দেখিয়েছে। ৭১সালে আমাদের গড় আয়ু ছিল ৫০%, আর আজ ২০১৯ সালে গড় আয়ু ৭২%। তাহলে কি বোঝা যায় না আমরা এগিয়ে যাৃিছ, নিরাপদ মাতৃত্ব যদি আমরা দিতে ব্যার্থ হই, মায়েদের স্বাস্থের প্রতি যদি খেয়াল না রাখি, বাল্য বিয়ে যদি বন্ধ করতে ব্যার্থ হই তাহলে আমরা আবারও পিছিয়ে পড়ব। ১০থেকে ১৯ বছর বয়সে কিশোর কিশোরির বয়সন্ধি কাল, এই বয়সে মানসিক পরিবর্তন আসে, মায়েদের বলি আপনারা কিশোরদের এনড্রয়েট মোবাইল কিনে দেবেন না, এতে করে তাদের যে ক্ষতি আপনি নিজ হাতে করবেন তা আর পোষানো যাবে না। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার আমিনুল ইসলাম। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ বি এম রবিউল ইসলাম, আলমডাঙ্গা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সালমুন আহম্মেদ ডন, ইউ পি চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ, আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল ইসলাম আজম, ইউপি সচিব সোহরাব হোসেন। জেলা তথ্য অফিসের কর্মকর্তা মারুফ হোসেনের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষিকা মাহমুদা ইয়াসমিন, রহিমা খাতুন, সুজাতা রানী, ফরিদা পারভীন, ছালেহা খাতুন প্রমুখ।