তিন সন্তানের জননীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ভোগ শেষে লাপাত্তা ইউপি সদস্য শাহিন আলম মকবুল। ঘটনাটি উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের কাটাভাঙা গ্রামে ঘটেছে। এঘটনায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে অনশন করে। ইউপি সদস্য কাটাভাঙা গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে ও দুই সন্তানের জনক শাহিন আলম। এছাড়াও অনশনরত প্রাগপুর গ্রামের কহেদ গং এর মেয়ে ও তিন কণ্যা সন্তানের জননী ও কাটাভাঙা গ্রামের লালন হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি সদস্য হিসেবে অংশ নেয় শাহিন আলম। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ভোট চাওয়ার সুবাদে দুজনের প্রেম সম্পর্ক গড়ে ওঠে দিনমজুর লালনের স্ত্রীর। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময় স্বামীর অনুপস্থিতে দেহ ভোগ করে গৃহবধূর। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূর চাপে গোপনে ভুয়া কাবিন নামায় সই করে বিয়ে করে ইউপি সদস্য শাহিন। এরই মধ্যে গৃহবধূ তার স্বামীকে ডিভোর্স দিলে ইউপি সদস্য শাহিন বাড়ি থেকে গা ঢাকা দেয়।
দীর্ঘ ১৫ দিনপর শাহিন বাড়িতে ফিরে আসার খবর শুনে ওই গৃহবধূ স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিও বাড়িতে অনশন শুরু করে। অবস্থা বেগতিক দেখে ইউপি সদস্য শাহিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে গৃহবধূকে বাড়াদি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান (ইউপি) সদস্য নুর হোসেনের জিম্মায় দেয়।
এঘটনায় ইউপি সদস্য নুর হোসেন বলেন, ওই গৃহবধূ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বামী দাবি করে ইউপি সদস্যর বাড়িতে অনশন করে। বিয়ের কাগজপত্র দেখাতে পারিনি। রাতে স্থানীয় ও পুলিশের সহযোগীতায় মেয়েকে আমার জিম্মায় রেখে দেয়।
আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুব জানান, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। উৎসুক জনতার নিকট থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে স্থানীয় আঠারোখাদা গ্রামের ইউপি সদস্যের নিকট জিম্মায় দেওয়া হয়। মেয়ে সঠিক তথ্য নিয়ে থানায় মামলা করলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।