আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের ৬ জন ডাক্তার ও ৭ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়। এ নিয়ে আলমডাঙ্গায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জন।
জানাগেছে, গত ১মাসে আলমডাঙ্গায় ২৫ জন করোনা রোগি সনাক্ত করে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন। আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ফেরৎ মানুষের প্রবেশের কারণে করোনা আক্রান্তের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক দিন যাবৎ আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্মিরা করোনা আক্রান্ত রোগীর নমুনা পরিক্ষার কাজ করে আসছিলো। এরই কারণে হাসপাতালের মোট ২২ জন দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নমূনা সংগ্রহ করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়। গত সোমবার ২৭ এপ্রিল রাতে ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীসহ মোট ১৯ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
প্রকাশ থাকে যে গত ১৯ শে মার্চ আলমডাঙ্গায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করে। গত সপ্তাহের ২৩ শে এপ্রিল আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদেমপুর ইউনিয়নে ৪জনকে করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করে। এছাড়াও,গত এক সপ্তাহ পার না হতেই আবারো আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত ৬ জন ডাক্তার ও ৭ জন স্বাস্থ্যকর্মীসহ ১৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আলমডাঙ্গায় মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, হারদি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ২৩ জনের মধ্যে ১৯ জন করোনা শনাক্তের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, “যাদের পজিটিভ এসেছে তাদের নমূনা পরীক্ষা করা হয় কুষ্টিয়া সরকারী হাসপাতাল ল্যাবে। এদের মধ্যে ৬ জন ডাক্তার, ৭ জন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, আলমডাঙ্গায় হারদি হাসপাতালে একই সঙ্গে ১৯জন করোনায় আক্রান্তের ঘটনায় হাসপাতাল লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত ব্যাক্তিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।