আলমডাঙ্গা উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় নৌকার সমর্থক নিহত মামলায় নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারক জোহরা খাতুন তা নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সাথে ওই মামলার অন্য ২২ জন আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ওই মামলার বাকী আসামীরা জামিনে রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ১১ মার্চ সহিসংতায় সংঘর্ষে জড়ান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) হায়াত আলী ও বিদ্রোহী প্রার্থী (চশমা) এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলের কর্মী-সমর্থকেরা। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হন। ঘটনার পরদিন আলমডাঙ্গা থানায় দবির আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজকে হুকুমের আসামি করে ২৫ জনের নামে মামলা করেন।
গত ২৪ মার্চ সকালে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত আওয়ামী লীগ কর্মী দবির আলী (৫৫) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আগের হত্যাচেষ্টার মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়। প্রতিপক্ষের দায়ের করা মামলায় ২১ মার্চ আলমডাঙ্গার আমলি আদালতে এজাজ ইমতিয়াজসহ তার পক্ষের ১৭ জন উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তারপর থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিনে ছিলেন নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল। আজ সোমবার আদালতে হাজিরা দিতে গেলে মামলার হুকুমের আসামী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ১৬ মার্চ আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হায়াত আলীকে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ ওরফে বিপুল। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন নয়জন। তবে নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম থেকেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়াত আলী (নৌকা) ও একই কমিটির নির্বাহী সদস্য এজাজ ইমতিয়াজ (চশমা)।