আলমডাঙ্গায় প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে গড়ে উঠেছে ২৭টি অবৈধ স’মিল। আর এসব স’মিল গুলো গিলে খাচ্ছে সামাজিক বনায়নের গাছ। আলমডাঙ্গা অবৈধ স’মিলের শহরে পরিণত হলেও বনবিভাগ রয়েছে এখনও ঘুমিয়ে, এমন অভিযোগ সচেতন মহলের।
দায়িত্বশীল সূত্রে প্রকাশ, সরকারী নির্দেশকে অমান্য করে কোন প্রকার অনুমতি না নিয়েই পৌর এলাকায় ১১টি ও উপজেলার হারদি, জামজামি, জেহালা, ঘোলদাড়ি, ভাংবাড়িয়া, হারদিসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে আরো অবৈধ ১৬টির মত স’মিল। বনবিভাগকে ম্যানেজ করে সংঘবদ্ধ পাচারকারীরা এসব অবৈধ স’মিলে হাজার হাজার ঘনফুট গাছ চেরাই করে যাচ্ছে। ফলে সামাজিক বনায়নের অস্তিত সংকটের পাশা-পাশি পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্ককার কথা জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ।
সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও নতুন নতুন স’মিল স্থাপিত হচ্ছে। বলতে গেলে আলমডাঙ্গায় গড়ে প্রতিটি ইউনিয়নে ২টি অবৈধ স’মিল বসানো হয়েছে। যার একটিরও বৈধ কাগজ পত্র কিংবা লাইসেন্স নেই। সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় এসব অবৈধ স’মিল গড়ে উঠেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, আলমডাঙ্গায় বনবিভাগের জনবল সংকট থাকায় জেলা বনবিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে স’মিল গুলোর লাইসেন্স প্রদান করা হয়। তবে, আলমডাঙ্গায় কোন কর্মকর্তা না থাকার কারণে সহজেই স’মিল নির্মাণ করছে।
সূত্রে আরো জানাযায়-কতিপয় বনবিভাগের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদেরকে মাসিক ও সাপ্তাহিক মাসোহারা বা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে অবৈধ স’মিল গুলো বসানো হয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন রহস্যজনক ভাবে স’মিল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে না এমন অভিযোগ সচেতন নাগরিক সমাজের।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, আলমডাঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে উপজেলা আইনশৃঙ্খখলা কমিটির সভায় একাধিকবার উত্থাপন করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর প্রশ্ন কোন অদৃশ্য কিংবা কালো হাতের ইশারায় আলমডাঙ্গায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা অবৈধ স’মিল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাকি প্রশাসন মোটা অংকের বিনিময়ে ম্যানেজ হয়ে রহস্যজনক ভূমিকায় স’মিল উচ্ছেদ করছে না।