আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গায় বিথী খাতুন (১৪) নামে এক মাদরাসা ছাত্রী নিখোঁজের পর ২ মাস হলেও এখনো সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ বিথী খাতুন উপজেলার নতিডাঙ্গা মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী এবং আবাসন এলাকার বাদাম বিক্রেতা সামসুল ওরফে কালুর মেয়ে।
গত ১৯ শে ডিসেম্বর মাঠে ঘাস কাটতে যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়ে সে আর ঘরে ফেরেনি। নিখোঁজের তিনদিন পর পরিবারের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গা থানায় ডায়েরি করা হয়।
পরিবার ও থানা সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের নতিডাঙ্গায় আবাসনে দিনমজুর কালুর পরিবার। সংসারের অভাব অনটনের মধ্যেও বাদাম বিক্রি করে তার মেয়ে বিথী খাতুনকে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করায়।
গত ১৯শে ডিসেম্বর দিনমজুর কালুর মেয়ে বিথী খাতুন বাড়ির ছাগলের জন্য দুপুর ১২ টায় মাঠে ঘাস আনতে যায়। দুপুরে গিয়ে বিকেল হলেও সে বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন এলাকাবাসী বিথীকে খুঁজতে বের হয়।
দুই দিন যাবৎ মাঠের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রামবাসীদের সহযোগীতায় খোঁজ তল্লাশি চালায়। কয়েক গ্রামে বিথীর সন্ধানে মাইকিং করে। তারপরও কোন সন্ধান মেলেনি বিথীর। নিখোঁজের তিনদিন পর পরিবারের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডাইরী করা হয়। গত ২ মাস পার হলেও বিথীর কোন সন্ধান না পেয়ে হতাশায় ভুগছে পরিবার। সন্ধানে স্বজনরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নিখোঁজ বিথীর পিতা সামসুল ইসলাম কালু জানান, প্রতিদিনের মতো গত ১৯ শে ডিসেম্বর দুপুরে বিথী মাঠে ছাগলের জন্য ঘাস আনতে যায়। দুপুর পেরিয়ে বিকেল হলেও তার কোন সন্ধান না পেয়ে মাঠে খোঁজ তল্লাশি করা হয়। খুঁজে না পেয়ে আলমডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে। গত ২ মাস অতিবাহিত হলেও মেয়েটি জীবিত আছে কিনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খোজঁ করতে অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ ডায়েরির পর থেকে পুলিশ বিথীকে উদ্ধারে তৎপর রয়েছে।