আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তর কতৃক আয়োজিত ২০২৩/২৪ অর্থবছরে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় মাঠ দিবস অনুষ্টিত।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টার সময় হারদী কুয়াতলা মহাম্মদপুর গ্রামে মাঠদিবস অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার রেহেনা পারভীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা খামার বাড়ীর তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আরশেদ আলী।
প্রধান অতিথি বলেন আমরা পরিক্ষা মুলক ভাবে তেলজাত দ্রব্য বিশেষ করে শরিষার তেল উৎপাদনে সফল হয়েছি। আপনারা সয়াবিন তেলের পরিবর্তে শরিষার তেল দিয়ে রান্না করেন, এতে খাটি তেল যেমন পাবেন, তেমন ভেজাল তেল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন, সোয়াবিন তেল উৎপাদন করতে ৩ কেজি প্রকৃত সোয়াবিন লাগে, প্রতিকেজি সোয়াবিনের দান ১ শত টাকা তাহলে এক কেজি সোযাবিন তেল করতে খরচ হয় ৩ শত টাকা। দেশে কি কোন পাগল আছে যে ৩ শত টাকা খরচ করে ১২৫ টাকা কেজি তেল বিক্রয় করবে, তাহলে ঐ তেলে অবশ্যই ভেজাল তেল মেশান হচ্ছে,তাই আসুন ভেজাল না খেযে খাটি শরিষার তেল খাই, আমরা সারা দেশে কয়েকটি এলাকা শরিষা চাষের আওতায় এনেছি তার মধ্যে আলমডাঙ্গা উপজেলা একটি, তাই আমি মনে করি আপনারা বিশেষ করে এই অঞ্চলের চাষি ভাইয়েরা ভাগ্যবান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ হীরক কুমার সরকার, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কাইছার ইকবাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম। উপ-সহকারি কৃষি অফিসার আরিফুল ইসলামের উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার রেহানা পারভীন।
এ ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপসহকারী কৃষি অফিসার আবদুস সামাদ, বক্তব্য রাখেন উপ সহকারী কৃষি অফিসার এ বি এম মমিন অর রশিদ, আব্দুস সামাদ মন্টু, অঞ্জিরা খাতুন, মুরতুজা জামান, কৃষক হুমায়ুন কবির, উপ-সহকারি কৃষি কর্অমকর্তা, খাদেমুল বাসার, আমজাদ হোসেন, নজরুল ইসলাম, সেলিনুর রহমান, কৃষক হুমাযন প্রমুখ। সভা শেষে অটোমেটিক সরিষা ভাঙ্গানো মেশিন দিয়ে তেল তৈরি করার পদ্ধতি শেখানো হয়।