আলমডাঙ্গার পশুহাটের সড়ক যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে অবৈধ নির্মিত দোকান উচ্ছেদ করেছে পৌর প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নুরের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তবে, উপজেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানকে অযৌক্তিক দাবি করেন স্থানীয় ভুক্তভোগী দোকান মালিকেরা। প্রভাবশালীদের স্থাপনা উচ্ছেদ না করে গবির-দুস্তদের উপর নির্মম অত্যাচার করছে।
স্থানীয়রা জানান, গত ৩ মাস পূর্বে আলমডাঙ্গা পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ফুটপাথ দখল মুক্ত ও অবৈধ দখলদারি দুরীকরণে লক্ষ্যে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন পৌর প্রশাসন। গত কয়েক দিনের এ অভিযান অতর্কিত ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। আবারো পূণরায় শুরু হয় দখল।
আলমডাঙ্গা পৌর শহরের প্রধান সড়কের দুই পাশের ড্রেনের ফুটপথ গুলো ব্যবসায়ীদের কবলে। এতে সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় রাস্তার পাশ দিয়ে। অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হয় সাধারণ পথচারীরা। তবুও পৌর প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে।
গত ৩ মাস পূর্বে পৌর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে অবৈধ নির্মিত দোকান সরিয়ে নেবার নোটিশ প্রদান করে। নোটিশ প্রদানের তিনমাস পার হলেও দোকান গুলো আবারো প্রসারিত হয়েছে। প্রশাসনের নজর দারির অভাবে বিতর্কিত হচ্ছে উচ্ছেদ অভিযান, ভোগান্তিতে পড়ছে নিম্নআয়ের মানুষ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আলমডাঙ্গা পৌর পশুহাটের যান চলাচল নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সাপ্তাহিক পশু হাটের দিন তিব্র জানজট মুক্ত করতেই এমন উদ্যোগ করে পৌর প্রশাসন। তবে, এসব দোকান-পাট উচ্ছেদ কি জানজট নিরসন করবে নাকি প্রভাবশালীদের ব্যবসায়ীক দুয়ার উন্মোচন হবে।
অবৈধভাবে নির্মিত দোকান মালিকেরা জানান, আমাদের ঘর-বাড়ি নাই। দোকানের মধ্যেই বসবাস করি এবং এখানেই চা-পান সিগারেট বিক্রি করে পেট চালায়।
এদিকে আরো অনেকে জানান, পৌর শহরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবৈধ ভাবে দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছে। তাদের প্রতিবাদের জন্য মুখফিরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু আমাদের মত অসহায় মানুষের সুযোগ নিয়ে উপার্জনের ক্ষমতা টুকু নস্ট করে দিলো।
উচ্ছেদ অভিযান উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নুর জানান, সাপ্তাহিক পশু হাটের কারণে তিব্র জানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হ সাধারণ মানুষ। পৌর শহরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদের মাধ্যমে জনবান্ধব হিসাবে এ পৌর নগরীকে গড়ে তোলার কাজ চলমান রয়েছে।