আলমডাঙ্গা পৌর শহরে সড়কের নালা (ড্রেন) নির্মাণকাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। খুঁটি অপসারণ না করেই নালা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
এভাবে নালা নির্মাণ করা হলে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও বিদ্যুতের খুঁটি দ্রুত অপসারণের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার কোম্পানিকে (ওজোপাডিকো) বারবার অনুরোধ করেছে। বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ না করায় স্লাব দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, পোল উত্তোলনে কোন চিঠি কিংবা যোগাযোগ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে গত ৫ জুলাই বৈদ্যুতিক খুঁটির গোড়াই স্লাব না থাকায় ড্রেনের পানিতে ডুবে ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু শিশু মৃত্যুর গত ৩দিন অতিক্রম হলেও এখন পর্যন্ত খুঁটি অপসারণ ও স্লাব দেবার কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ । এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌর এলাকার কলেজপাড়া সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে চলতি বর্ষায় পানি নিষ্কাশনের জন্য উন্নত কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজে আগত শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ ওই এলাকার মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বড় বড় খানাখন্দ, উঁচু-নিচু গর্ত আর সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এরশাদপুর চাতাল মোড় থেকে শহরের প্রধান সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত। এ সড়কের পাশে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও ওজোপাডিকো ভবন।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের উদ্যোগে কলেজপাড়া ও এরশাদপুর সড়কে আরসিসি পয়োনালা নির্মাণ প্রকল্প খাতে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ের ৫ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণের কাজ চলমান। ইতিমধ্যে ৩ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে। তারা আশাবাদী, দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে। ইতিমধ্যেই কলেজপাড়া সড়কের টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
কাজের ঠিকাদার মো. মোজাহিদুর রহমান লোটাস জোয়াদ্দার বলেন, এই বিদ্যুৎ পোল অপসারণের জন্য কাজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়। তারা কিছু পোল অপসারণ করে অন্যত্রস্থানে স্থাপন করেছে। কিন্তু কলেজপাড়া ও এরশাদপুর গ্রামে ড্রেনে পোল অপসারণে তেমন গুরুত্ব না দেওয়ায় নালা (ড্রেন) নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কাজের ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে এই বিদ্যুৎ পোলের জন্য। এখন ঠিকাদার মাঠপর্যায়ে এসে পোল অপসারণ করলেই ড্রেনের কাজ আবারও পুরোদমে শুরু করা হবে। দীর্ঘ নালার বাকি কাজ বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণের মাধ্যমে শিগগিরই ড্রেনের উপরে স্লাব নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি জানান।
ড্রেন থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর বিষয়ে ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহিনুর রহমান বলেন, পোল সরানোর বিষয়ে আমরা কোন চিঠি পায়নি। কিন্তু শুধু চিঠি পেলে তো হবে না। পোল সরানোর খরচের বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।