আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন সিনিয়র স্টাফ নার্সের বিরুদ্ধে দায়িত্ব ও কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। ডাইরিয়া রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে হয়রানীর অভিযোগও তুলেছে ভুক্তভোগী সামসুন নাহারের স্বামী শফিকুল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলা হারদি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা বেগম , সেলিনা খাতুন ও শারমিন আরা।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সামসুন নাহার। তিনি গত ১৯শে মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে তার স্ত্রী সামসুন নাহার ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হারদি হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিন জরুরী বিভাগে দায়িত্বপালন করেন চিকিৎসক ডাঃ পার্থ কুমার পাল। তিনি রোগের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এবং চিকিৎসা সেবা দেবার জন্য ডাইরিয়া ওয়ার্ডে পাঠান। তারা প্রথমে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় দায়িত্বরত স্টাফ নার্সের কাউন্টারে গেলে তারা ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সামসুন নাহারকে নিয়ে গেলে নার্স সেলিনা খাতুন আবারো কাউন্টারে ফেরৎ দেয়। এভাবে এ ভবন থেকে অন্য ভবনে দৌড়াদৌড়ির শিকার হয়। ততক্ষণ চিকিৎসকের চিকিৎসা পত্রের কোন চিকিৎসা দেননি। ওই রোগীর শারীর অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় চিকিৎসা না নিয়ে শফিকুল ইসলাম তার স্ত্রীকে নিয়ে দ্রুত স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন এবং চিকিৎসা দেন। শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি রোগীদের নার্সের তামাশা খুবই দুঃখজনক। এমন হয়রানীর শিকার যেনো পরবর্তীতে অন্য কোন রোগী যেনো না হয় সেকারনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবার দাবি জানান।
হারদি হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স (ইনচার্জ) জানান, কাউন্টারে তিন-চার জন রোগী ভর্তির জন্য তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছিল। ওই রোগীকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। তবে কি কারণে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে তার জানা নেই।