আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমােদন ছাড়া কোন পর্যায়েই আওয়ামী লীগে যােগদান অবৈধ বিবেচিত হবে। ইতিমধ্যে যারা স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগে যােগদান করেছেন, তারা আওয়ামী লীগের সদস্য হবেন যদি কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদ অনুমােদন দেয়। আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন, ইতিমধ্যে ইউনিয়ন বা উপজেলা পর্যায়ে অন্যদল থেকে যারা আওয়ামী লীগে যােগ দিয়েছে, আমরা তাদের যােগদান মূল্যায়ন করবাে।
তারা যদি কোন অপরাধ, সন্ত্রাস বা জঙ্গীবাদের সঙ্গে জড়িত থাকে, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিটি তার যােগদান অনুমােদন দেবে না।’ ঐ ব্যক্তি এখন আওয়ামী লীগের সদস্য থাকবেন না।
হানিফ আরো বলেন, নতুন করে আওয়ামী লীগে যােগদানের আগে ঐ অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদকের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। সাংগঠনিক সম্পাদক যোগদানে ইচ্ছুকদের তথ্য দলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে জানাবেন। এটা যদি কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটি অনুমতি দেয় সেক্ষেত্রেই তার যােগদানের অনুষ্ঠানিকতা করা হবে।’ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় পর্যায়ে এরকম যােগদানের ঘটনা ঘটছে। এর সঙ্গে স্থানীয় স্বার্থ জড়িত। অনেক সময় আমরা জানিও না, কে যােগ দিলাে কিভাবে যােগ দিলো। একটা ঘটনা ঘটার পর আমরা জানতে পারি। তখন বদনাম হয় আওয়ামী লীগের।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বগুড়ার গােহাইল ইউনিয়নে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যােগদানকারী এক ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে লাঞ্ছিত হন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা। ২০১৬ সালে স্থানীয় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আতােয়ার তালুকদার ফজু আওয়ামী লীগে যােগ দেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অন্ধকারে রেখে স্থানীয় এমপি এবং শাজাহানপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এই যােগদানের ঘটনা ঘটান। বুধবার আলী আতােয়ার স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউসুফ আলীকে মারধর করেন।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। এই খবর এসেছে। এতে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বগুড়া অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে এ ব্যাপারে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেন, বগুড়ার ঘটনাটি গণমাধ্যমে আসায় আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সারাদেশে এরকম ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। এরকম পরিস্থিতিতে কোনঠাসা হয়ে পড়ছে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী এবং পরীক্ষিরা। জানা গেছে, সারাদেশে এরকম ঘটনার বিচার চেয়ে সহস্রাধিক অভিযােগ এসেছে কেন্দ্রীয় দপ্তরে। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, এই অভিযােগগুলো তদন্ত হবে, যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপি-জামাত থেকে যারা ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগে যােগ দিয়েছে তাদের তালিকাও চূড়ান্ত করাহয়েছে। এই তালিকায় যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযােগ প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি বাইরে থেকে লােক নেওয়া আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।