প্রশাসনকে ধোঁকা দিয়ে কিছু চা বিক্রেতা বিভিন্ন স্থানে চা বিক্রি করছেন। এ নিয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনি তাঁর ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তা হুবুহু তুলে ধরা হলো।
তিনি লিখেছেন-
গতকাল বিকালে মুজিবনগর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের অনেকগুলো গ্রাম ঘুরে একটি চায়ের দোকানও খোলা পাইনি। সাতটি বাজার ঘুরে নির্দেশনার বাইরে মাত্র একটি দোকান খোলা পেয়েছি। তাই আমার খুব ভাল লেগেছে যে, মুজিবনগর উপজেলার মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তবে কিছু কিছু মানুষ প্রশাসনকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য চালাকি করছে বলে আমার কাছে খবর আসছে।
যেমন: কিছু চা দোকানদার এখন দোকানে চা বিক্রি না করে বাড়ির পাশে জঙ্গলে চা বিক্রি করছে এবং লোকজন সেখানে একত্রিত হয়ে চা পান করছেন! আবার ফজরের নামাজের পরে খুব সকালে কেউ কেউ দোকান খুলেও চা বিক্রি করছে!
চা দোকানদারের কথা না হয় বাদ দিলাম। আমরা অনেক সচেতন মানুষ কেন সেখানে একত্রিত হয়ে চা পান করছি!!
কয়েকদিন আগে একটি ইউনিয়নে অভিযান করছিলাম। কোনো এক বাজারের একটি বন্ধ চা দোকানের মাচায় বসে কিছু মানুষ আড্ডা দিচ্ছিলো। আমাদের দেখে অনেকে দৌড়ে পালালো, কয়েকজনকে বুঝিয়ে বললাম।
সেখান থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর আমার মোবাইলে ফোন আসলো ” স্যার যাদের আপনি বুঝিয়ে বলে গেলেন, আর যারা ভয়ে দৌড়ে পালালো তারা সবাই আবার গিয়ে সেই মাচায় বসেছে”।
দূর থেকে গাড়ি দেখলে পুরো জায়গা ফাঁকা। চলে যাওয়ার পর আবার ফিরে আসা। সবাই প্রশাসনকে ধোঁকা দিচ্ছে!! এ এক ভয়নক মানসিকতা।
আচ্ছা যারা এটা করছেন, তারা কি একবারও চিন্তা করেছেন কেন আমরা রাত-দিন এত অভিযান, এত মোবাইল কোর্ট, এত সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি? কেন সরকার আপনাদের বারবার ঘরে থাকতে বলছে? কেন আমরা এত কষ্ট করে সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছি!! গতকাল ১০০০ মানুষের বাড়ি গিয়ে খাদ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
আপনাদের কি কোন দায়িত্ব নাই? কেন আপনারা প্রশাসনকে ধোঁকা দিচ্ছেন?
আপনি কি জানেন আপনি নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে ধোকা দিচ্ছে না! আফসোস যদি সেটা বুঝতেন!!
তাই আসুন অন্তত আগামী কিছুদিন সব ধরণের চালাকি বন্ধ করে আমরা আমাদের সকলের স্বার্থে তথা রাষ্ট্রের স্বার্থে ঘরে থাকি।
তবে মুজিবনগর উপজেলার যুবসমাজ সত্যিই গর্ব করার মত। তারা অনেক ভাল ভাল কাজ করছে। আমি চাই তারা এসব মানুষের চালাকি বন্ধেও প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে। ধোঁকাবাজদের সংখ্যা খুবই কম।