ইউটিউব দেখে শখের বসে চায়না কমলার বাগান করে সফলতা পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা নাস্তিপুর গ্রামের উদ্যেক্তা রাজা মিয়া। থোকায় থোকায় চায়না কমলার ফলনে হাসি ফুটেছে রাজা মিয়ার মুখে।
উদ্যেক্তা রাজা মিয়া বলেন, আমার ১ বিঘা জমিতে ১০০ টি চায়না কমলার চারা রোপণ করেছিলাম । এখন বাগানের বয়স ৫ বছর। রোপণের প্রথম বছরে অল্প কিছু ফল আসে । দ্বিতীয় বছরে প্রথম বারের থেকে একটু ফলন বেশি হলেও তৃতীয় বছরে পরিপূর্ণ ভাবে চায়না কমলার গাছে ফল আসা শুরু হয়।
বিঘা প্রতি খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজা মিয়া বলেন, প্রথমে খরচ একটু বেশি হয়েছে কারন জমির চারিদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিতে হয়েছে, চারা কেনা , জমি চাষ ও অন্যন্য খরচ দিয়ে আমার প্রায় এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা মতো খরচ হয়েছিল। চায়না কমলা চাষ করেছি কারণ চায়না কমলার রোগ বালাই কম, কয়েকটি রোগ দেখা গেলেও ঔষধ এর মাধ্যমে তা সমাধান করা যায়। আমাদের দেশের আবহাওয়ার সাথে এটি মানিয়ে নিয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে ।
পরিচর্যার বিষয়ে তিনি বলেন, চায়না কমলার একটু দেখাশোনা করলেই অধিক ফলন পাওয়া সম্ভব। তবে খেয়াল রাখতে হবে জমিতে পানি না জমে। কারণ গাছের গোড়ায় পানি জমলে গাছ মারা যেতে পারে এবং গাছে ফল থাকলে ঝরে যেতে পারে। জমির আগাছা সবসময় পরিস্কার রাখতে হবে, সেই সাথে জৈব সার দিতে হবে। কথায় আছে”যত্ন নিলে রত্ন মিলে” সুতরাং একটু যত্ন নিলে চায়না কমলার ফলন বেশি পাওয়া যাবে।
উদ্যেক্তা রাজা মিয়া আরও বলেন চায়না কমলার বাগান নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি কারণ, শুরুতে ইউটিউব ও শখের বসে চয়না কমলার বাগান শুরু করে আল্লাহর রহমতে আজ এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি। নিজের বাগানের গাছে থোকায় থোকায় চায়না কমলা দেখে আনন্দে মন ভরে যায়।