ইউনিয়ন পর্যায়ের নির্বাচনের আমেজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন মনোনয়ন প্রত্যাশিরা ছুটছেন জনগণের কাছে। কেউ কেউ দলের উচ্চ পর্যায়েও দোড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিন এর এবারের আয়োজন ‘গ্রামীণ জনপদে ভোট’ শীর্ষক সাক্ষাতকার পর্ব। এবারে মেহেরপুর প্রতিদিন এর মুখোমুখি হয়েছিলেন গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক।
সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন আমাদের প্রতিনিধি পলাশ আহম্মেদ। সাক্ষাতকারের বিশেষ অংশটি এখানে তুলে ধরা হলো।
মেহেরপুর প্রতিদিন: আসছে নির্বাচনে আপনার প্রস্তুতি কেমন?
আব্দুর রাজ্জাক: আমি গত দুই মাস ধরে প্রতিটা গ্রামে গ্রামে যাচ্ছি এবং তাদের সমস্যার কথা শুনছি। অনেকের সমস্যা সমাধান করছি। প্রতিটা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাত করছি। এই ৫ বছরে জনগণের অনেক দুঃখ-কষ্ট আছে সেগুলো আমাকে জনগণ বলছে আমি শুনছি। জনগণ আমাকে চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় যে ভাবে পেয়েছে এই চেয়ারম্যান কে পাচ্ছে না। তাই জনগণ আমাকে ভোট দেবে, বার বার তারা একই ভুল করবে না।
মেহেরপুর প্রতিদিন: আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী?
আব্দুর রাজ্জাক: আমি ছোট বেলা থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে ছিলাম। ১০ম শ্রেণীতে যখন পড়তাম তখন ধানখোলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, তারপর কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ করেছি, মেহেরপুর সরকারি কলেজের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছিলাম, সে¦চ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলাম, উপজেলায় বর্তমানে ধানখোলা ‘খ’ ইউনিটের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছি। যখন চেয়ারম্যান ছিলাম তখন ৩ বার ফার্স্ট হয়েছি জনগণের পাশে থেকেছি সেই হিসেবে আমি ১০০% আশাবাদী আমিই মনোনয়ন পাবো। গতবার একক নাম গিয়েছিল এবারো একক নাম যাবে ইনশাল্লাহ।
মেহেরপুর প্রতিদিন: ইতোমধ্যে বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন গুলোতে অংশ নেবে। সেক্ষেত্রে আপনার ইউনিয়নে নির্বাচনটি কেমন প্রতিদ্বন্দি¦তাপূর্ণ হবে?
আব্দুর রাজ্জাক: গতবার আমার প্রতিপক্ষ হিসেবে বিএনপি প্রার্থী ছিলো, আমার সামান্য ভুলের জন্য পরাজিত হয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু ভুল ত্রুটি ছিলো। তবে এবার আমি সব কিছু সমাধান করেই মাঠে নামছি। এবার নির্বাচনে যা ভোট পোল হবে তার অর্ধেকের বেশি ভোট পেয়ে আমি চেয়ারম্যান হবো। সেই প্রতিশ্রুতি জনগণ আমাকে দিয়েছে।
মেহেরপুর প্রতিদিন: পুনরায় নির্বাচিত হলে কি কি করতে চান?
আব্দুর রাজ্জাক: প্রথমেই নির্বাচিত হয়ে আমার ইউনিয়নকে এ গ্রেডে নিয়ে যেতে চাই। আমার ইউনিয়নের বেকার যুবকদের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করবো। রাস্তাঘাট নির্মাণ করবো। বর্তমানে আমার একটা সমিতি আছে যার ৪০০জন সদস্য, অল্প টাকায় লোন দিই যাতে বেকার যুবকরা ব্যবসা করে খামার করে সচ্ছল হতে পারে। সর্বপরি ইউনিয়ন পরিষদের সৌন্দর্য বর্ধন করবো।