ভারতের দিল্লিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যে নারীর মৃত্যু হয়েছে, তার দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল ইতালিফেরত সন্তানের মাধ্যমে।
৬৮ বছর বয়সী এই নারী গত শুক্রবার মারা যান বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
এ ছাড়া ভারতের কর্নাটকে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় এখন পর্যন্ত ভারতে ১০০ জন আক্রান্ত হয়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৬৮ বছর বয়সী এ নারী পশ্চিম দিল্লির বাসিন্দা। তার মৃত্যুর কারণ ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
ওই নারী নিজে বিদেশে না গেলেও তার ছেলে সম্প্রতি ইতালি ও সুইজারল্যান্ড ঘুরে দেশে ফিরেছিলেন। পরে তার দেহে নভেল করোনাভাইরাস ধরা পড়ে, যা থেকে মায়ের দেহেও ছড়ায়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত ৫ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইতালি ও সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করেছিলেন ওই নারীর ছেলে।
২৩ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার পর কয়েক দিন পর তার জ্বর আসে, সঙ্গে কাশিও ছিল। গত ৭ মার্চ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছেলের পর মায়েরও জ্বর এলে তাকেও ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ওই নারীর ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন ছিল। ইনফ্লুয়েঞ্জা হওয়ার পর ৯ মার্চ তার অবস্থার অবনতি ঘটে, তখন তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
দিল্লির রাজ্যসরকার জানিয়েছে, ওই নারীর মৃত্যুর পর তাদের বাড়ির আশপাশের অন্তত ৫০টি ঘরের বাসিন্দাদের এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
সুত্র-যুগান্তর