করোনা-সৃষ্ট স্থবিরতা ভেঙে আগামী ৮ অক্টোবর আবারও মাঠে ফিরছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এর আগের পারফর্ম্যান্স থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণা আর হোম কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে শেষ চার ম্যাচে ইতিবাচক ফলাফলের আশাই করছে দল। জানিয়েছেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ।
স্থবিরতা শেষে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচটি খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। বাকি থাকা তিনটি ‘হোম’ ম্যাচই সিলেটে আয়োজনের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। হোম ম্যাচ দিয়ে ফেরার কারণে কিছুটা সুবিধাই হবে বাংলাদেশের। অভিমত তপু বর্মণের। বসুন্ধরা কিংস ডিফেন্ডারের ভাষ্য, ‘তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণের বাইরে আছি। আশা করছি আগামী মাসেই অনুশীলনে ফিরব আমরা, যার ফলে সময় নিয়েই প্রস্তুত হতে পারব। তবে ম্যাচটা হোম ম্যাচ বলে কিছু অতিরিক্ত সুবিধা পাব আমরা।’
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের লেগে ১-০ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সেই ম্যাচের পারফর্ম্যান্স আর সামগ্রিক বিবেচনায় নিজেদের মাঠে ফিরতি লেগে কোচ জেমি ডের শিষ্যরাই এগিয়ে থাকবে বলে মনে করেন তপু, ‘তাজিকিস্তানে সেই ম্যাচে ভালো খেলেও হেরেছিলাম। দেশের বাইরের ম্যাচগুলোয় ভালো খেলেছি, তাই আশা করছি দেশের ম্যাচগুলোতে আরো ভালো খেলব আমরা। এছাড়া দলগত তুলনায়ও তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকব আমরা।’
ভারতের বিপক্ষে কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জয়ের জোর সম্ভাবনাই জাগিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোল হজম করায় ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় জামাল ভুঁইয়াদের। এবার হোম কন্ডিশনে পাওনা জয়টা আদায় করে নিতে চায় বাংলাদেশ। তপু বলেন, ‘সেই ম্যাচে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও ড্র করেছি। তবে তাদের দর্শকদের সামনে ভালো খেলাটা এবার পজিটিভ ভূমিকা রাখবে। তাদের বিপক্ষে খেলে বুঝেছি, তাদের চেয়ে কোনো অংশে কম নই আমরা, সাম্যাবস্থায় আছি। পাশাপাশি এবার আমরা পাচ্ছি হোম কন্ডিশনের সুবিধা। তাই আরো ইতিবাচক ফলাফলের আশাই করছি আমরা।’
বাছাইপর্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাটা ওমানের মাটিতেই দিতে হয়েছিল জেমি ডের শিষ্যদের। তবে এবার কন্ডিশনটা ওমানেরই অচেনা। আর তাই সেই সুবিধাটা নেওয়ার জন্যও মুখিয়ে বাংলাদেশ। তবে সে জন্য দলীয়ভাবেই ভালো পারফর্ম করতে হবে বলে জানান তপু। তিনি বলেন, ‘বাছাইপর্বের কঠিন ম্যাচটা ছিল ওমানের বিপক্ষে। কিন্তু এবার ওমান দেশের বাইরে খেলতে আসবে। আমার মনে হয়, দলগতভাবে ভালো খেলতে পারলে আমরা পজিটিভ ফলাফল পাব।’