উগান্ডায় মার্কিন দূতাবাসের ১১ কর্মীর আইফোন হ্যাকে ইসরাইলের এনএসও গ্রুপের বানানো স্পাইওয়্যার ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের ওপর নজরদারিতে ইসরাইলি কোম্পানির স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহারের বিষয়টি শুক্রবার প্রকাশ্যে আসে। মার্কিন কর্মকর্তাদের ওপর নজরদারিতে পেগাসাসার ব্যবহারের অভিযোগ এটাই প্রথম বলে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে। এনএসও’র প্রযুক্তি বিভিন্ন দেশের সরকার ভিন্নমত দমনে কাজে লাগাচ্ছে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলি এ কোম্পানিকে মাসখানেক আগে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল।
উগান্ডার মার্কিন কর্মকর্তাদের ওপর নজরদারি এনএসও চালিয়েছে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি; সম্ভবত কোম্পানিটির কোনো এক গ্রাহক, ধারণা করা হচ্ছে বিদেশি কোনো দেশের সরকার এ হ্যাকিংয়ের নির্দেশ দিয়েছিল। বলা হয়, পেগাসাস যদি একবার আপনার ফোনে ঢোকার পথ করে নিতে পারে, তাহলে আপনার অগোচরে সে আপনার ফোনকে পরিণত করবে ২৪ ঘণ্টার এক নজরদারির যন্ত্রে।
ফোনে যত মেসেজ আসুক বা পাঠানো হোক, পেগাসাস তা কপি করে পাঠিয়ে দিতে নির্দিষ্ট জায়গায়। ফোনে থাকা ছবির ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। এই সফটওয়্যার ফোন কল রেকর্ড করতে পারে, এমনকি ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে গোপনে আপনার ভিডিও ধারণ করতে পারে।
দূতাবাসকর্মীদের ফোন হ্যাকে এনএসও’র পেগাসাস ব্যবহারের বিষয়টি এমন এক সময়ে এল যখন ভিন্নমতাবলম্বীদের লোকেশন জানা, তাদের কথোপকথন শোনা এবং তাদের ফোনে থাকা ফাইল গোপনে ডাউনলোডের উদ্দেশ্যে নজরদারি সফটওয়্যার বানানো ইসরাইলি কোম্পানিগুলোর ওপর ভয়াবহ চাপ সৃষ্টি করেছে।
হোয়াইট হাউসে কয়েকদিন পর হতে যাওয়া একটি সম্মেলনে এ ধরনের সফটওয়্যার বানানো কোম্পানির বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আরও পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপল গত ২৩ নভেম্বর উগান্ডার মার্কিন দূতাবাসকে হ্যাকিংয়ের বিষয়টি প্রথম জানায়। যাদের ফোন হ্যাক হয়েছে, তাদের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের সদস্য যেমন আছে, তেমনি আছে স্থানীয় কর্মীরাও।
উগান্ডায় মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের ওপর নজরদারি বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অ্যাপলের প্রতিনিধিরা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এনএসও বলেছে, তারা এই অভিযোগ বিষয়ে স্বতন্ত্রভাবে তদন্ত করবে এবং যে কোনো সরকারি তদন্তে সহায়তা করবে।