রোগাক্রান্ত গাভীর মাংস বিক্রি করার অপরাধে মেহেরপুর কলেজ মোড়ের ইয়ারুল হোটেলের মালিক ইয়ারুল ইসলামসহ তার সহযোগী মজিবর রহমানকে জেলে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুরের বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক এস এম শরিয়ত উল্লাহ তাদের জেলে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার রিয়াজ মাহমুদ এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ স্টেডিয়াম পাড়া সংলগ্ন পারভেজ কসাইয়ের বাড়িতে রোগাক্রান্ত গাভীর মাংস বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান টিমটি জানতে পারেন ওই মাংস ইয়ারুল হোটেলে বিক্রি করা হয়েছে। পরে ইয়ারুল হোটেল অভিযান পরিচালনা করে সেখান থেকে ৩২ কেজি মাংস জব্দ করা হয়। এসময় আসামী ইয়ারুল ইসলাম ও তার সহযোগী মজিবর কে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিচারক তাকে জেলে পাঠানো নির্দেশ দেন। এবং প্রধান আসামি পারভেজ কসাই পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন আদালত। আগামী ৩০ নভেম্বর মামলার পরবর্তি দিন ধার্য করা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আরো জানান, আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে যোগসাজশ করে এধরণের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে জব্দকৃত মাংস ধবংস করা হয়।
অভিযানে সহযোগিতা করেন নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলামসহ সদর থানা পুলিশের একটি টিম।
উল্লেখ্য, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও নিম্মমানের খাবার বিক্রি নিয়ে ইয়ারুল হোটেলের বিরুদ্ধে মেহেরপুর প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশ হলে আদালত তার বিরুদ্ধে স্বপ্রনোদিত মামলা দায়ের করেন। তারপরও তাকে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। তবুও সে নিম্মমানের খাবার বিক্রি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছেন।