নিয়মিত বেতন এবং বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকায় দেশের অন্যান্য চিনিকলের তুলনায় দর্শনা কেরুজ চিনিকলটি কর্মকর্তাদের নিকট খুবই প্রিয়। যার কারণে উৎপাদন বিভাগের কর্মকর্তা ছাত্রলীগ নেতা জাহিদুল হক টুটুল ঘুরে ফিরে ৮ বছর ধরে দর্শনা কেরুজ চিনিকলের একই চেয়ার ধরে রেখেছেন। কিছুদিনের জন্য মোবারকগঞ্জ চিনিকলে অবস্থান করলেও স্বৈরাচার আ.লীগ সরকারের হাত ধরে দর্শনা কেরুজ চিনিকলে বদলী হয়ে বহাল তবিয়তে আছেন। অভিযোগ উঠেছে চাকুরীর সুবাদে বিভিন্ন দুর্নিতি করে নিজ এলাকায় সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে অভিযুক্ত কর্মকর্তা টুটুলকে বদলী করার জোর দাবি তুলেছেন সচেতন মহল।
দেশের ১৭টি চিনিকলের মধ্যে দর্শনা কেরুজ চিনিকলটি অন্যতম। বিভিন্ন কারণে অন্যান্য চিনিকলের কর্মকর্তাদের ঠিকমত মাসিক বেতন না হওয়ায় বিভিন্ন সুপারিশে বা অর্থ বিনিয়গ করে এ চিনিকলে বদলি হয়ে আসেন। তাদেরি একজন উৎপাদন বিভাগের ডিজিএম জাহিদুল হক টুটুল। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুবাদে স্বৈরাচার সরকারের সুপারিশে প্রথমবার ২০১৩ সালে দর্শনা চিনিকলে বদলি হয়ে আসেন তিনি। ২০১৯ সাল পর্যন্ত অবস্থান করেন। কিছু দিনের জন্য মোবারকগঞ্জ চিনিকলে বদলি হয়ে গেলেও পুন:রায় পছন্দের প্রতিষ্ঠান দর্শনা চিনিকলে ফিরে আসেন। সেই থেকে বর্তমানে তিনি কেরুজ চিনিকলে অবস্থান করছেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে, জাহিদুল হক টুটুল দুর্নিতি করে নিজ এলাকায় একাধিক আলিশান বাড়ি নির্মান করেছেন। আওয়ামী লীগ করার সুবাদে চাকুরীতে যোগদান এবং ঘুরে ফিরে লোভনিয় জায়াগায় পৌষ্টিং নিয়ে চাকুরী করায় জনমনে নানা প্রশ্ন জেগেছে। ফলে অনেকেরই প্রশ্ন স্বৈরাচার সরকারের মদদপুষ্ট টুটুলের খুঁটির জোর কোথায় ? আর কিভাবেই বা অবৈধ্য সম্পদের মালিক হলেন সেটি ক্ষতিয়ে দেখার দাবি তুলেছে সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাহিদুল হক টুটুল তার বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ অশিকার করে বলেন, ভালো কাজারে জন্য আমাকে দর্শনা চিনিকলে রাখা হয়েছে।