২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৪১ শতাংশ বড় প্রতিষ্ঠান বিপুলসংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে। এর মূল কারণ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়করণ। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের এক জরিপে বলা হয়েছে, পোস্টাল সার্ভিস কর্মী, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি এবং পে-রোল ক্লার্কের মতো চাকরি দ্রুত কমে আসবে।
দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ
২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৭৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের পুনঃপ্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে চায়। এর ফলে কর্মীরা এআইয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার সুযোগ পাবেন এবং কর্মসংস্থানের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
কোন কোন চাকরি ঝুঁকিতে?
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পূর্বাভাস দিচ্ছে, ব্যাংকিং, ক্যাশিয়ার, ডেটা অ্যান্ট্রি অপারেটর এবং প্রশাসনিক সহকারীর মতো কাজগুলো এআই সহজেই প্রতিস্থাপন করতে পারবে। ‘গোল্ডম্যান স্যাকস’-এর গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ কোটি কর্মী চাকরি হারাতে পারেন। বিশেষ করে ব্যাংক টেলার, গ্রাহকসেবা প্রতিনিধি এবং ট্রান্সক্রিপশনিস্টদের মতো পেশাগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কর্মী সংকোচন
আইবিএম এবং মেটার মতো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কর্মী সংখ্যা কমানো শুরু করেছে। আইবিএম চলতি বছর ৪ হাজার কর্মী ছাঁটাই করার ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে মেটাও একই সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজের দক্ষতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
চ্যালেঞ্জ নাকি সুযোগ?
বিশ্ব দ্রুত এআইচালিত হয়ে উঠছে, যা চাকরির বাজারে ব্যাপক পরিবর্তন আনছে। তবে প্রযুক্তির এ পরিবর্তন শুধু চ্যালেঞ্জ নয়, এটি একটি সুযোগও বটে। দক্ষতা উন্নয়ন, নতুন কাজের সুযোগ এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে কর্মীরা এ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন। গবেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাই হবে ভবিষ্যতের টিকে থাকার মূল কৌশল।
সূত্র: যুগান্তর