ক্যামেরুনের ওলেম্বে স্টেডিয়ামে সেনেগাল ও মিশরের মধ্যকার ফাইনাল খেলাটি নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটও গোলশূন্য থাকলে গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ গোলে জিতে প্রথমবারের মতো প্রতিযোগিতাটির শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে সাদিও মানের দল।
স্পোর্টস এসকাপের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাইনালের মতো স্নায়ুচাপের মঞ্চে শুরুতেই পেনাল্টি মিস করায় একজন খেলোয়াড়ের ভেঙে পড়ার উদাহরণ আছে ঢের। সাদিও মানের জন্যও সেটা কম ধাক্কা ছিল না। তবে যেভাবে তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। সতীর্থদের এ জন্য ধন্যবাদ দিয়েছেন সাদিও মানে।
নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে সাদিও মানে বলেন, ক্লাব পর্যায়ে জেতা সব অর্জনের চেয়ে প্রাপ্তির তালিকায় এটিই তার কাছে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে। দেশকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসাতে পেরে উচ্ছ্বসিত তিনি।
তিনি বলেন, এটা আমার জীবনের সেরা দিন এবং আমার ক্যারিয়ারের সেরা ট্রফি।
তিনি আরও বলেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও আরও কয়েকটি ট্রফি জিতেছি। কিন্তু আফ্রিকান নেশন্স কাপ আমার কাছে বিশেষ কিছু। এটি আমার জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ। নিজের জন্য, আমার দেশের মানুষের জন্য এবং আমার পরিবারের সবার জন্য আমি খুশি।
ম্যাচের শুরুটা যদিও সুখকর ছিল না মানের ও সেনেগালের। সপ্তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মিশর গোলরক্ষক আবু গাবাল ঠেকিয়ে দেন তার বুলেট গতির স্পট কিক।
ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে মানের সামনে সুযোগ আসে প্রথম ভুল শোধরানোর। এবার আর তাকে আটকাতে পারেননি আবু গাবাল। মানের নেওয়া শেষ শটেই নিশ্চিত হয় ২০০২ ও ২০১৯ আসরের রানার্সআপ সেনেগালের শিরোপা জয়।
মানে বলেন, আমার সতীর্থরা তখন আমার কাছে এসে বলেছিল, ‘সাদিও আমরা একসঙ্গে জিতি এবং একসঙ্গে হারি। আমরা তোমাকে জানি। তুমি আমাদের জন্য অনেক করেছো-এগিয়ে যাও।
“তাদের কথাগুলো আমাকে শক্তি জুগিয়েছিল। আমার মনে হয়, টাইব্রেকারে আমার শটের সময় ওটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল…এই ট্রফি পুরো সেনেগাল দলের, সবাই এটার যোগ্য।”
তিনটি গোল করে ও সতীর্থদের দিয়ে দুটি করিয়ে সেনেগালকে ফাইনালে তোলায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা মানের। টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি।