দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোর সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় রোজার ঈদে। কিন্তু করোনার প্রভাবে এবারের ঈদ ফ্যাশনের চিত্রটা পাল্টে গেছে। কেমন কাটছে তাদের সময়।
‘উৎসবে ও প্রতিদিনে ভিন্নমাত্রা’— এই শ্লোগান নিয়েই অঞ্জন’স-এর পথচলা। ঈদকে আরও বেশি উৎসব মুখর ও প্রাণবন্ত করতে অঞ্জন’স প্রতিবছর পোশাক নিয়ে বিশেষ আয়োজন করে থাকে। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে সমসাময়িক ট্রেন্ড নিয়ে এবারের আয়োজনে থাকছে জামদানি, কাঁথা, কলকা, ফুলকারি সহ বিভিন্ন ধরনের জিওমেট্রিক ও ফ্লোরাল মোটিফ। আর পোশাকের প্যাটার্ন চলমান ট্রেন্ড অনুসরণ করেই করা হয়েছে।
ঈদ আয়োজনে মেয়েদের জন্য থাকছে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ ওড়না ও বিভিন্ন ধরনের টপস। ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি-পাজামা, শার্ট, টি-শার্ট ও শেরোয়ানী। শিশু-কিশোরদের জন্য থাকছে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ফ্রক, পাঞ্জাবি, শার্ট ও ফতুয়া। তারুণ্য নির্ভর এবারের ডিজাইনে বিভিন্ন ধরনের কটন, লিনেন কটন, জর্জেট, সিল্ক, এন্ডিকটন সহ নতুন ধরনের উইভিং ডিজাইনের কাপড় দিয়ে পোশাকগুলো করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা আছে অঞ্জন’স-এর ঢাকার সোবহানবাগ, রিং রোড মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বনানী রোড ১১, বেইলি রোড, ওয়ারি, মালিবাগ, রংপুর এবং খুলনা শাখা। স্টোরের পাশাপাশি নান্দনিক রুচি ও সর্বশেষ ট্রেন্ড নিয়ে এবারের আয়োজনগুলো অনলাইনে www.anjans.com এবং ফেইজবুক anjans.bd-এ পাওয়া যাবে। ফ্যাশন এন্টারপ্রেনারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি ও অঞ্জন’স-এর শীর্ষ নির্বাহী মো. শাহীন আহম্মেদ বলেন, দেশের বৃহত্ শপিংমলগুলো বন্ধ থাকায় শুধুমাত্র গুলশান দেশিদশ খোলা আছে। সংগঠন থেকে অন্যান্য ফ্যাশন হাউজগুলোর আউটলেট খোলা না খোলার বিষয়ে সদস্যদের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হবে না। নিজ উদ্যোগে কেউ চাইলে দোকান খুলতে পারেন। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উত্সাহিত করতে হবে।
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিমিত্তে ‘সারা’ লাইফ স্টাইল এবার অনলাইনের মাধ্যমেই পণ্য পৌঁছে দিবে গ্রাহকের দরজায়। সারার নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারার পেজ থেকে পণ্য অর্ডার করলেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে। বরাবরের মতই সারার এবারের ঈদ আয়োজনে মেয়েদের জন্য থাকছে পার্টি ওয়্যার সিঙ্গেল পিস, পার্টি ওয়্যার থ্রি-পিস, এক্সক্লুসিভ শাড়ি, প্রিন্টেড শাড়ি, কুর্তি, প্রিন্টেড থ্রি-পিস, ফ্যাশন টপস ও ডেনিম। শিশুদের জন্য থাকছে ফ্রক, টপস, টপস-স্কার্ট সেট, টপস-বটম সেট, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, পোলো শার্ট, বটমস, পাঞ্জাবি-পায়জামা, নিউ বর্ন-নিমা সেট। তবে সারার ঈদ আয়োজনে এবার অন্যতম আকর্ষণ হিসাবে রয়েছে ফুল ফ্যামিলি কালেকশন— পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, শাড়ি, টি-শার্ট, পোলো শার্ট। অনলাইন শপিংয়ের জন্য
করোনায় থমকে থাকা জীবনে আসন্ন ঈদ উৎসব খানিকটা বর্ণিল করতে জেন্টল পার্ক এনেছে নতুন ডিজাইনের ঈদ পোশাক। স্টোরের মতো সব পণ্যই এবার মিলছে তাদের অনলাইন স্টোর ও ফেসবুক প্লাটফর্মে। দেশি মোটিফের সঙ্গে প্যাটার্ন, কাটিংয়ের বৈচিত্র্যতা নিয়ে পুরো ঈদ পোশাকই এবার তারুণ্যের ট্রেন্ড নির্ভর। থাকছে কাবলি, কামিজ, কুর্তি, পাঞ্জাবিসহ শিশুদের পোশাক। নতুন পোশাক ক্রয়ে ক্রেতা আগ্রহ বাড়াতে থাকছে মূল্যছাড় ক্যাম্পেইন। শোরুমে বা অনলাইন প্লাটফর্মে কেনাকাটায় থাকছে সকল পণ্যে ২০% মূল্যছাড় সুবিধা। ঘরে বসে ঈদের পোশাক পেতে বাড়তি ডেলিভারি চার্জ দিতে হবে না। জেন্টল পার্ক অনলাইন প্লাটফর্মে কেনাকাটায় নিজস্ব ডেলিভারি টিম ঢাকা ও চট্টগ্রামে পণ্য পৌঁছে দিবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই। পাশাপাশি সারাদেশের গ্রাহকরাও বিনামূল্যে পাবেন বাড়তি মূল্যছাড় সহ ডেলিভারি সুবিধা। জেন্টল পার্কের উদ্যোক্তা ও প্রধান ডিজাইনার শাহাদত্ হোসেন বাবু জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বজুড়েই এখন দুঃসময়। তবুও ফ্যাশনপ্রিয় সবাই যেন সীমিতভাবে হলেও ঈদ আনন্দে মেতে ওঠতে পারে তাই গ্রাহকদের বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছি আমরা। নিয়ম মেনে দেশজুড়ে বিনামূল্যে পণ্য ডেলিভারি সুবিধাছাড়াও সকল পণ্যে ২০% মূল্যছাড়ের ব্যবস্থা করেছি। সামাজিক দূরত্ব এবং সব ধরনের সুরক্ষা নিশ্চিত করে ১০ মে থেকে আমাদের রিটেইল স্টোর খোলা রাখা হচ্ছে। জেন্টলপার্কের স্টোর ছাড়াও ফেসবুক ভেরিফাইড পেজ এবং অনলাইনে মিলবে ঈদ পোশাকের খোঁজ ও ছবি সহ প্রয়োজনীয় তথ্য। অনলাইন শপিংয়ের জন্য : www.gentlepark.com
মুসলিম বিশ্বে চলছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। কয়েকদিন পরই আসছে আনন্দের দিন ঈদ। যদিও চলতি বাস্তবতায় ঈদের সেই চিরচেনা আনন্দ থাকবে না। ঘরে আটকে থাকা মানুষের মার্কেটে মার্কেটে ঘুরে কেনাকাটার আনন্দ নেই। তবুও যে জীবন থেমে নেই। আর এমন বাস্তবতায় ফ্যাশন ব্রান্ড বিশ্বরঙ-এ থাকছে ঘরে বসেই ঈদ শপিং করার সুযোগ। অনলাইনে পছন্দের পোশাকটি অর্ডার করলেই পৌঁছে যাবে আপনার ঘরে। কারণ পণ্য সরবরাহের প্রতিটি ধাপে বিশ্বরঙ-এর থাকে সর্বোচ্চ সতর্কতা। বিশ্বরঙ-এর অনলাইন শপে স্বাভাবিক সময়ের মতো মন মাতানো সব বাহারি ডিজাইনের কালেকশনই থাকছে; সেই সঙ্গে থাকছে ঈদ শুভেচ্ছা স্বরূপ ১০% মূল্যছাড়। ওয়েব পেজ www.bishworang.com এবং ফেসবুক পেজ bishworangfanclub-এর মাধ্যমে অনলাইনে ঘরে বসেই কিনতে পারেন আপনার পছন্দের পোশাকটি।
এই করোনাকালে সরকার নির্দেশিত নিয়ম মেনে ক্রেতা ও কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে কে ক্র্যাফট ঢাকাতে কিছু নির্দিষ্ট শাখা ও খুলনায় অবস্থিত শাখা ক্রেতাদের জন্য সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন শপ www.kaykraft.com এবং ফেসবুক পেজ kaykraft.com.bd-এর মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে ক্রেতারা বিকাশ, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড এবং ঢাকায় ক্যাশ অন ডেলিভারি নিয়ে পছন্দের পোশাক কিনতে পারছেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা আছে কে ক্র্যাফট এর ঢাকার সোবহানবাগ, রিং রোড মোহাম্মাদপুর, মিরপুর, বনানী রোড ১১, বেইলি রোড, ওয়ারি, মালিবাগ, আজিজ সুপার মার্কেট, গুলশান দেশিদশ এবং খুলনা শাখা।
দেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড কে ক্র্যাফটের উদ্যোক্তা খালিদ মাহমুদ খান বলেন, অনলাইন ও আউটলেট থেকে এই দুর্যোগ সময়ে যারা কেনাকাটা করে দেশীয় পোশাক শিল্পের সাথে যুক্ত সবাইকে তাদের নিজ নিজ পেশা রক্ষায় সাহায্য করছেন—তাদের সবার প্রতি কে ক্র্যাফট কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সীমিত সময়ের জন্য ৩০% ছাড়ে সকল পণ্য বিক্রি করছে। তিনি আরও বলেন, এবারের ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঈদ উদযাপনে অনেক ক্রেতা নানা কারণে কেনাকাটাতে সাশ্রয়ী হবেন, আবার কেনাকাটা না-ও করতে পারেন। ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান, আপনি যদি কেনাকাটা করেন, তাহলে দেশীয় পণ্যই কিনুন, দেশজ উৎপাদনে সহযোগী হন।
ইত্তেফাক/