আর কত গরিব, আর কত অসহায় হলে সরকারি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া যায়- তা জানা নেই বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী সহিদ মিয়ার।
মেহেরপুর জেলার গাংনী পৌরসভাধীন শিশিরপাড়া গ্রামের মাঠ পাড়ার অসহায় এই মানুষটির একমাত্র মাথা গোঁজার আশ্রয়মাটির ঘরের দেয়ালখানি অতিরিক্ত বর্ষণের ফলে ভেঙ্গে গেছে মাসখানেক আগে। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে তা মেরামত করাওসম্ভব হয়নি আজও।
মেরামত হবেই-বা কি করে, যার যেখানে নুন আনতে পানতা ফুরাবার অবস্থা সে কিভাবে ঘর মেরামত করবে? ঘরের যে দেয়ালটুকু অবশিষ্ট রয়েছে তা যে কোন মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে।
তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ভাঙ্গা ঘরের মধ্যেই তারা বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রী বসবাস করে চলেছে।শারীরিকভাবে অক্ষম বাক প্রতিবন্ধী সহিদ মিয়ার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হচ্ছে তার বৃদ্ধা স্ত্রী ছালে খাতুন। বৃদ্ধা স্ত্রী ছালে কখনো লোকের বাড়িতে, কখনো মাঠে গিয়ে দিন মজুরের কাজ করে যা উপার্জন করে তা দিয়ে অনেক কষ্টে সংসার চলে তাদের।
উপার্জিত সামান্য এই অর্থের মধ্য হতে বৃদ্ধা স্বামী সহিদ মিয়ার চিকিৎসাও চালিয়ে যাচ্ছে সে। তাদের ঔরসজাত শুকুর আলী ও মুছা নামের দুই সন্তান থাকলেও তারা বাবা-মায়ের খোঁজ-খবর নেয় না। তারা থাকে আলাদা। তাদেরও সংসার চলে দিনমজুরের কাজ করে।
সরকারি সহযোগীতায় অনেক উপার্জনক্ষম ব্যাক্তির ঘর-বাড়ি নির্মান করে দেয়া হলেও অসহায় এই পরিবারটির সহযোগীতায় কেউ আজ পর্যন্ত এগিয়ে আসেনি। তাই এই মুহূর্তে সরকারী কিংবা বে-সরকারী পর্যায়ে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসলে অসহায় এই পরিবারটি হয়তো কিছুটা হলেও আলোর মুখ দেখতে পাবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় পৌর কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি এই পরিবারটিকে। এই মুহূর্তে অসহায় এই পরিবারটির জন্য ঘর নির্মাণ, একটি হুইল চেয়ার ক্রয়, খাদ্য সহায়তা জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন। তিনি সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন।