রাস্তাখানা খন্দে ভরা, নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে হাটুজল সৃষ্টিকাঁদা, পথচারীরা চলাচলে পড়ে চরম ভোগান্তিতে।
ঝিনাইদহ সদরের হলিধানী বাজার থেকে হরিণাকুণ্ড উপজেলা মুখী আঞ্চলিক সড়কের হলিধানী বাজারে এবং বৈডাঙ্গা বাজার থেকে হরিণাকুণ্ড উপজেলা ও কাতলামারী যাওয়ার পথে বৈডাঙ্গা গ্রামের পাটব্লকের সামনের রাস্তার বেহাল অবস্থা। রাস্তার দুই পাশে উচু করে মাটি ভরাট করে ঘরবাড়ি তৈরী করার কারণে বৃষ্টির পানি সব রাস্তায় জমা হয়। কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দিনের পর দিন রাস্তা গুলোই থাকে জলাবদ্ধতা। এসব উপেক্ষা করে কাঁদা জল পাড়ি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এসব রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। রাস্তা দুটির এই অবস্থা দীর্ঘদিন চলে আসছে।
রাস্তানির্মান কতৃপক্ষ এলজিইডি, স্থানীয় চেয়ারম্যান পরিষদের এসব ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। তবে সাগান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন নির্বাচিত হওয়ার পরে স্থানীয় যুবসমাজকে সাথে নিয়ে রাস্তায় কিছু ইটের খোয়াবালি ফেলেছিল। সাধারণ জনগন স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বরদের উপরে এসব ব্যাপারে ব্যাপ কনা খোশ। রাস্তা পার হতে গেলে নিশ্চিত কাঁদা মাড়াতেই হবে।
স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা রাস্তার কাঁদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে চায় না । এসব খারাপ রাস্তার দৈর্ঘ বেশীনয়, হলিধানী বাজারের ইউনিয়ন পরিষদের সামনেই এরকম বেহাল দশা, মহাসড়ক থেকে মাত্র ৫শ মিটার রাস্তা পুনঃনির্মাণ করলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় বলে অনেকেই মনে করেণ।
এদিকে বৈডাঙ্গা বাজার থেকে যে আঞ্চলিক সড়কটি হরিণাকুণ্ডু উপজেলার দিকে ও কাতলামারী বাজারের দিকে গেছে। এই সড়কের বৈডাঙ্গা গ্রামের মধ্যে পাটব্লকের সামনে ৫শ থেকে ৬শ মিটার রাস্তা ব্যাপক খারাপ,বাকি রাস্তা কিছুটা ভাল আছে।
এই খারাপ রাস্তাটুকুর জন্য স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রী,বয়স্ক,নারী-পুরুষ পথচারী দুর দুরান্ত থেকে আসা মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল বাইকারও পড়ে চরম ভোগান্তিতে। একটু বৃষ্টি হলেই এই রাস্তায় জমে হাটু পানি নেই বিকল্প পায়ে হাটার কোন পথ। পথচারীরা ভোগান্তি নিয়ে রাস্তা পার হয় আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারকে গালমন্দ করতে থাকে।
এবিষয়ে ৩নং সাগান্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন এ এলাকায় বিএনপির চেয়ারম্যান দায়িত্বে ছিলেন। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর পরই একবার ইটের রাবিশ দিয়েছি তবে রাস্তা নিচ ুহওয়ায় জলাবদ্ধতা তৈরী হচ্ছে ড্রেনের ব্যবস্থা না করলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। তিনি আরও বলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা এলজিইডি কে বিষয়টি অবহিত করেছি বরাদ্দ দিলে পুনঃনির্মাণ কাজ শুরুহবে। পানি শুকিয়ে গেলে আবার রাবিশ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।
এবিষয়ে ৪নং হলিধানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ্যাড.এনামুল হক নিলুর সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন ওনার রাস্তার দিকে কোন নজর নেই ওনি শুধু টাকার পিছনে থাকেন। এতদিন দায়িত্ব পাওয়ার পরেও এক ঝুড়ি ইটের খোয়াও এই হলিধানী বাজারের রাস্তায় পড়েনি। এই গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়ক দুটির দ্রুত পুনঃনির্মান বা সংস্কার করে জনগণের ভোগান্তি লাঘবের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।