কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর রোববার শেষ দফায় ফল প্রকাশ হয়েছে। নতুন উত্তীর্ণরা আগামী ১৭ তারিখ পর্যন্ত একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। আর আগামী মাস থেকে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, অক্টোবর থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে। শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে অনলাইনেই এই ক্লাস চলবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর স্বাভাবিক শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের (কলেজ) একাদশে এবারও মোট তিন ধাপে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন নেয়া হয়। প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন।
গত ৯ আগস্ট থেকে অনলাইনে এই আবেদন শুরু হয়। এর আগে সোমবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটি ভর্তির এ সংক্রান্ত সূচি প্রকাশ করে।
গত ৮ সেপ্টেম্বরের শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পৌর (উপজেলা) এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সেশন ও ভর্তিফিসহ সাকল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তিন হাজার টাকা নিতে পারবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি অর্থ আদায় করা যাবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিওবহির্ভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ও এমপিওবহির্ভূত শিক্ষকদের বেতনভাতা দেয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তি ফি, সেশন চার্জ, উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা নিতে পারবে।
উন্নয়ন খাতে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবার এক হাজার ৫০০ টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। গত বছর এ খাতে ৩ হাজার টাকা ছিল। করোনা পরিস্থিতির কারণে এই ফি কমানো হয়।