অনলাইনে আদান-প্রদান করা তথ্যের নিরাপত্তায় গোপনীয়তা সুরক্ষার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তায় নিজেদের মেসেজিং অ্যাপ ও ই-মেইল সেবায় এনক্রিপশন পদ্ধতি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন পদ্ধতিতে বার্তা বা তথ্য পাঠালে প্রেরক ও প্রাপক ছাড়া অন্য কেউ জানতে পারেন না। ফলে তথ্য নিরাপদ থাকে।
এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন কী
এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন মূলত অনলাইনে নিরাপদে যোগাযোগের পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রেরকের কাছ থেকেই বার্তাতে বিশেষ সংকেত (কোড) যুক্ত করে প্রাপকের কাছে পাঠানো হয়। প্রাপকের কাছে পৌঁছানোর পর কোডযুক্ত বার্তাকে আবার সাধারণ বার্তায় পরিণত করে। এতে নির্দিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ বার্তায় থাকা তথ্য জানতে পারেন না। এমনকি তথ্য বিনিময় করা অ্যাপ বা যোগাযোগমাধ্যমগুলোর পক্ষেও কোনো তথ্য জানা সম্ভব হয় না।
যেভাবে কাজ করে
এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন পদ্ধতিতে প্রেরক ও প্রাপকের কাছে দুটি নম্বর থাকে, যাদের ‘কি’ বলা হয়। একটি কি পাবলিক এবং অন্যটি প্রাইভেট নামে পরিচিত। পাবলিক কি পাঠানোর আগেই বার্তাতে বিশেষ সংকেত যুক্ত করে। আর এই বিশেষ সংকেত থেকে বার্তাকে পুনরায় পাঠের উপযোগী করে ব্যক্তিগত কি। এ জন্য সময়ও লাগে খুব কম। ফলে অনেকে বুঝতেই পারেন না, বার্তায় সংকেত যুক্ত করে বিনিময় করা হয়েছে; অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সুবিধায় বার্তা পাঠালে প্রাপক পড়ার আগেই বার্তাটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাবলিক এবং প্রাইভেট কি যুক্ত হয়ে যায়। বার্তার উত্তর পাঠালে একই পদ্ধতিতে সেই ব্যক্তির কাছে বার্তা ফিরে আসে। ফলে নিরাপদে একে অপরের সঙ্গে বার্তা বিনিময় করা যায়।
এনক্রিপশন পদ্ধতিতে বার্তা বিনিময়ের সময় মূলত দুটি মৌলিক সংখ্যা ব্যবহৃত হয়। এই দুটি সংখ্যা জানা থাকলেই কেবল সংকেতযুক্ত বার্তার পাঠ উদ্ধার করা সম্ভব। স্বয়ংক্রিয়ভাবে এ সংখ্যা পরিবর্তিত হওয়ায় সাইবার অপরাধী বা তৃতীয় কোনো পক্ষ সহজে এনক্রিপশন পদ্ধতির নিরাপত্তাব্যবস্থা ভাঙতে পারে না। ফলে নিরাপদে বার্তা বিনিময় করা যায়।
সূত্র: প্রথমআলো