জীবনের মূল্যবান সময় ২৬টি বছর চাকুরী করেও এমপিওভূক্ত কর্মচারী হতে পারেনি খাজিরন নেছা। তার শেষ সম্বল মাত্র ১০ কাঠা জমি ছিল, সেটিও বিক্রি করে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে প্রধান শিক্ষককে। বারবার আবেদন করেছেন। কিন্তু ছলে বলে আজকাল করে নিরাশ করেছেন প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। অবেশেষে চাকুরী ও প্রধান শিক্ষককে দেওয়া ৬ লাখ টাকা ফিরে পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন দরিদ্র, অসহায় এই কর্মচারী।
মেহেরপুর সদর উপজেলার বর্শিবাড়ীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী (আয়া) খাজিরুন নেছা গত (১৫ নভেম্বর) মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এমন অভিযোগ এনে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে তিনি বলেছেন, বর্শিবাড়ীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ে ২০০২ সালে চতুর্খ শ্রেনীর কর্মচারী (আয়া) পদে আমি নিয়োগ পাই। কর্মজীবনে আমি নিষ্ঠার সাথে দায়ীত্ব পালন করে আসছি। আমার একমাত্র সম্বল ১০ কাঠা আবাদী জমি বিক্রি করে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যায় বাবদ প্রদান করি। অথচ বিদ্যালয়ের বয়স ২০ বছর হয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ নানা তালবাহানা করে আমার নিয়োগ নিশ্চিত করেনি।
বিদ্যালয়টি ২০১৯ সালে জাতীয়করণ (এমপিভূক্ত) হয়েছে। পরে আমি তাকে আবারো বললে আমাকে নিয়োগ বৈধ করার জন্য নানা অজুহাতে ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক এখন পর্যন্ত আমাকে সরকারি ভাতাদী প্রাপ্তীর কোনো ব্যবস্থা করেনি।
আজকাল করে নানা তালবাহানা করে আমাকে ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি তার কাছ থেকে আমার দেওয়া ৬ লাখ টাকা ফেরৎ চাইলে দিতে অস্বীকৃতি জানান এবং অকথ্য ভাষায় গালিগাল করেন। তাই বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নিয়ে তার চাকুরী জাতীয়করণ করার ব্যবস্থা ও প্রদেয় টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করেন এই অসহায় নারী।
উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী, বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, ছাত্র ছাত্রীর টিউশন ফিস আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়রা তাকে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়াসহ লঞ্ছিত করার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মেহেরপুর প্রতিদিনসহ স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।