মুঠোফোনের নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বাড়াতে এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস সল্যুশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ মার্কেটিং অফিসার এরিক ঝাও। সদ্য সমাপ্য মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সাংহাই আসরে এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
এ খাতের পেশাজীবী ও নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে গত ২৬ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত চীনের সাংহাইতে এমডব্লিউসি সাংহাই ২০২৪-এর আয়োজন করেছিল হুয়াওয়ে। সেখানে এরিক ঝাও বলেন, ‘এআই প্রযুক্তিকে নেটওয়ার্কে নিয়ে আসাই প্রধান লক্ষ্য। যা অর্জনে উদ্যোক্তা হয়ে সল্যুশন প্রোভাইডার থেকে ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্কের সহনির্মাতাতে (কো-বিল্ডার) পরিণত হব। বিশ্বাস করি, আরএএন ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট ও নেটওয়ার্কের যৌথ প্রবৃদ্ধি বিস্তৃত পরিসরে ব্যবসায়িক মূল্য তৈরি করবে, যা দ্রুত নেটওয়ার্কে রূপান্তর করবে এবং শিল্পকে বুদ্ধিমত্তার নতুন যুগে নিয়ে যাবে।
তিনি জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে হাংঝো, গুয়াংঝো, ব্যাংকক, জিনান ও শেনজেনে হাজারের বেশি সাইট ইঞ্জিনিয়ার ও ১০ হাজার সাইটকে প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিন বছরের প্রচেষ্টার পর টেলিকম খাতে ফাইভজি (অ্যাডভান্স) পরিকল্পনার পর্যায় থেকে বাস্তবে রূপ পেয়েছে। ২০২৪ সালকে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজির প্রথম বছর হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ব্যবসা, নেটওয়ার্ক ও ডিভাইস ডেভেলপমেন্টে এখন পর্যন্ত ফাইভজি উল্লেখযোগ্য সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।
বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কের জটিল কার্যক্রম ও রক্ষণাবেক্ষণ, নেটওয়ার্কের নানা বৈশিষ্ট্য ও অভিজ্ঞতা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বিষয়গুলো বিবেচনা করে হুয়াওয়ে নেটওয়ার্কে এআই ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে। অর্থাত্ রেডিও অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক (আরএএন) ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট তৈরি করে নেটওয়ার্কের কার্যক্রম ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবায় নতুন মাত্রা যোগ করা হবে।
মূলত আরএএন ইন্টেলিজেন্ট এজেন্ট জটিল প্রক্রিয়াকে সহজ করে দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। যার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো হুয়াওয়ের চালু করা ফিল্ড মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার কোপাইলট। প্রথম প্রযুক্তি হিসেবে চালু হওয়া কোপাইলটে আছে এআই প্রযুক্তির অ্যাসিস্ট্যান্ট, যা বিশেষায়িত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে স্বাধীনভাবে সল্যুশন পলিসি তৈরির মাধ্যমে দক্ষতা বাড়াতে পারে। বিশেষ করে ফিল্ড কেসে ১০ গুণ বেশি দক্ষতার সঙ্গে অপটিক্যাল পাথ ফল্ট পরিচালনায় সাহায্য করছে।
সূত্র: ইত্তেফাক