প্রায় সব বিষয়েই পুরোদস্তুর শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারে এআই। আর এমন শিক্ষকের শরণাপন্ন হচ্ছেন বিশ্বের অনেক দেশের শিক্ষার্থীরা।
কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, এআই আর রোবট মিলে করে দেবে আমাদের সব কাজকর্ম। এমন পরিস্থিতিতে স্বভাবতই প্রশ্ন চলে আসে, এআই যদি আমাদের সব কাজই করে দেয় তাহলে কষ্ট করে আর পড়াশোনা করার কি দরকার?
এআই সঠিক কমান্ড দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার মতো দক্ষ মানুষের চাহিদাও বাড়বে ওই সময়ে। এ কারণে যুক্তরাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবহার করছে, যার দরুন সেখানকার শিক্ষাব্যবস্থা ক্রমেই হয়ে উঠছে এআইনির্ভর। কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীরা শুধু নিজেদের অ্যাসাইনমেন্ট করিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন চ্যাটজিপিটি, তবে বর্তমানে যুক্তরাজ্যের বেশ কিছু বিদ্যালয় ওয়ার্কশিট ফরম্যাটিংয়ের কাজে সাহায্য করার জন্য এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহায়তার ক্ষেত্রে কাজ করছে এআই।
কটেসমোর স্কুলে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের পছন্দমতো শিক্ষক নির্বাচনের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রজারসন বলেন, ‘সবার মতামত নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হচ্ছে।’
বেশ কিছু স্কুল সূত্রে জানা গেছে, পাঠ্যক্রমের বাইরে কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসার জন্য এআই শিক্ষকের ব্যবহার করা হচ্ছে।
অবশ্য শিক্ষাক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে এগিয়ে আছে খান একাডেমির সালমান খানের ‘খানমিগো’। শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ের পাঠ পরিকল্পনা তৈরি করে দিতে সিদ্ধহস্ত এটি। সিঙ্গাপুরের সেন্টার ফর এডুকেশনাল টেকনোলজিসের ‘কোডভেরি’ শিক্ষার্থীদের কোডিং অ্যাসাইনমেন্টের ভুল শনাক্ত করা হয় এআই দিয়ে।
দক্ষিণ কোরিয়া ২০২৫ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে কাস্টমাইজড ডিজিটাল পাঠ্যপুস্তক তৈরির পরিকল্পনা করছে। এখন দেখার বিষয় ভবিষ্যতে বাংলাদেশের শিক্ষাদান ব্যবস্থা এআইকে কাজে লাগিয়ে কতটা এগিয়ে যেতে পারে!